দেশে একক প্রার্থী হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার প্রথা শেষ করার লক্ষ্যে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতের অধিবেশনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। অধ্যাদেশের খসড়া এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছিল।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে একাধিক পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন বিধানও সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘না’ ভোটের বিধান।
নতুন ‘না’ ভোটের বিধান
-
আরপিওর অনুচ্ছেদ ১৯-এ সংযোজন করা হয়েছে, যে কোনো নির্বাচনি আসনে প্রার্থী যদি একজন থাকেন, তখন ভোটাররা ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
-
যদি নির্বাচনে ‘না ভোট’ প্রাপ্ত সংখ্যা প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেই এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
-
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।
-
যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর, নির্বাচনি এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী থাকলেও ‘না ভোট’-এর বিধান প্রযোজ্য। প্রার্থী যদি ‘না’ ভোটের চেয়ে বেশি ভোট পান, তবে রিটার্নিং অফিসার তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে ‘না’ ভোট বেশি হলে পুনঃনির্বাচন হবে।
-
দ্বিতীয়বারের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যদি শেষ পর্যন্ত কেবল একজন প্রার্থী থাকেন, তাহলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তন জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। বিশেষ করে, একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের বিধান প্রথাগত বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার নিয়ম বন্ধ করতে কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

