আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডিসের নেতিবাচক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। দাতা সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে সফরকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মুডিসের প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুডিস দ্রুত বাংলাদেশের ঋণমান নামিয়েছে। পরবর্তীতে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসলেও সংস্থাটি ঋণমান আপডেট করেনি।
গভর্নর জানান, “ব্যালেন্স অব পেমেন্টে এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি,” কিন্তু মুডিস ন্যায়বিচার করছে না। তিনি সংস্থাটিকে নতুন করে যাচাই-বাছাই করে ঋণমান আপডেট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ফলে সংস্থাটি দেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে কমিয়ে ‘বি-টু’ করেছে এবং নেতিবাচক পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৮.৪৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নিতে পারবে বলে আভাস দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিতে এই সংকট কাটবে না।
অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইবে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে।” গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মুডিসের তথ্য হালনাগাদ না করার বিষয়টিকে ‘খাদ্যে বিষ মেশানোর মতো’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

