তিন মাস পরপর মুনাফা পাওয়া যায় এমন সঞ্চয়পত্র খুঁজছেন? জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রটি সাধারণ মধ্যবিত্তের আস্থা জিতেছে প্রায় আড়াই দশক ধরে। এই সঞ্চয়পত্র ১৯৯৮ সালে প্রবর্তন করা হয়।
সঞ্চয়পত্রের মূল্যমান রয়েছে ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকার। জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে এটি কেনা এবং নগদায়ন (ভাঙানো) করা যায়।
মেয়াদ ও মুনাফা: মেয়াদ ৩ বছর। মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ করলে মেয়াদপূর্তিতে ১১.৮২% মুনাফা পাওয়া যাবে। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে মুনাফার হার হবে ১১.৭৭%। তিন বছরের আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কম দেওয়া হবে। এক বছরের মধ্যে ভাঙলে কোনো মুনাফা পাওয়া যাবে না। ৫ লাখ টাকার পর্যন্ত বিনিয়োগের মুনাফার ওপর ৫% কর কর্তন হয়। এর বেশি বিনিয়োগে ১০% কর কাটা হবে।
কারা কিনতে পারবেন: সব ধরনের বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এ ছাড়া স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগির খামার, পেলিটেড পোলট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতাপাতার চাষ থেকে অর্জিত আয়ও বিনিয়োগযোগ্য। অটিস্টিকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রবীণদের নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্রও এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে।
একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক বিনিয়োগ সীমা:
- একক নামে: ৩০ লাখ টাকা
- যুগ্ম নামে: ৬০ লাখ টাকা
- প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে: ভবিষ্য তহবিলে মোট স্থিতির ৫০%, সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা
- ফার্ম: সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা
- অটিস্টিক সহায়ক প্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রবীণদের আশ্রয়কেন্দ্র: সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা
অন্যান্য সুবিধা:
- তিন মাস অন্তর মুনাফা প্রদান
- নমিনি নিয়োগ করা যায়
- ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে নগদায়ন করতে পারবেন অথবা মেয়াদপূর্তির পর প্রতি তিন মাসে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন

