ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য রপ্তানিতে আরও গতি আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি অনুমোদন (ইএক্সপি) ফরম ছাড়াই রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ করেছে। এখন ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকরা এক হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার পণ্য ঘোষণা ছাড়াই রপ্তানি করতে পারবেন। এর আগে এই সীমা ছিল ৫০০ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক নির্দেশনা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ক্ষুদ্র ও নতুন উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স রপ্তানিকে সহজ ও দ্রুত করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপ ডিজিটাল বাণিজ্যকে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি আয়ের দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়ায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঘোষণাবিহীন এসব রপ্তানির আয় এখন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার (এমএফএসপি) এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি)-এর মাধ্যমে দেশে আনা যাবে। অর্থাৎ নগদ ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও রপ্তানি আয় গ্রহণের সুযোগ বাড়ল। এর আগে এমএফএসপি ও পিএসপি কেবল তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে কার্যকর ছিল। নতুন নির্দেশনার ফলে এই সুবিধা এখন স্বল্পমূল্যের পণ্য রপ্তানিতেও প্রযোজ্য হবে।
ক্ষুদ্র ই-কমার্স রপ্তানিকারকরা বলছেন, নতুন সিদ্ধান্ত রপ্তানি প্রক্রিয়ায় গতি আনবে এবং লেনদেন হবে আরও স্বচ্ছ। তারা উল্লেখ করছেন, “আগে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে রপ্তানি আয়ের ফেরত পাওয়া যেত না। এখন সময় ও খরচ দুটোই কমবে।”
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহকে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে আনার ক্ষেত্রেও এ উদ্যোগ সহায়ক হবে। অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের লেনদেন প্রক্রিয়া করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, নতুন নীতিমালা অনুসরণের ফলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মভিত্তিক পণ্য রপ্তানি আরও সুশৃঙ্খল হবে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।

