রাশিয়া বাংলাদেশে বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন পটাশ সার পাঠাচ্ছে। এটি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।
গত ৬ নভেম্বর দেশটির সবচেয়ে বড় সার উৎপাদনকারী কোম্পানি উরাচেম গ্রুপ তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য ঘোষণা করেছে। আগে থেকেই উরাচেম গ্রুপ বিনামূল্যের সার দেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (ক্রয়) আহমেদ হাসান আল মাহমুদ সার আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে।
গত বছরের ২০ নভেম্বর কোম্পানির প্রধান নির্বাহী দিমিত্রি কনিয়েভ কৃষি মন্ত্রণালয়কে এ সার দেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি পাঠান। পরে কৃষি মন্ত্রণালয় এটি নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে বিনামূল্যের সার সরবরাহ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত মি. আলেকজান্ডার জি এবং রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মিয়া সাত্তার বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে সার সরবরাহের বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাশিয়ার এ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত সরবরাহ শুরু করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ-রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির চেয়ারম্যান মিয়া সাত্তার বলেন, “রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দীর্ঘ পথচলাতে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। আশা করি, এ সার দেশের কৃষকদের কাজে লাগবে।” তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত সার সরবরাহ শুরু করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি প্রথম সার দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
উরাচেম গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। এর একটি প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি ইউরালকালি বিশ্বের অন্যতম পটাশ সার উৎপাদক। ২০১৩ সাল থেকে জিটুজি ভিত্তিতে জেএসসি বৈদেশিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এক মিলিয়ন টনের বেশি এমওপি সার সরবরাহ করেছে।

