Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Fri, Dec 12, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » ব্যবসায়ীদের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রম আইন সংশোধন জারি
    অর্থনীতি

    ব্যবসায়ীদের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রম আইন সংশোধন জারি

    মনিরুজ্জামানNovember 19, 2025Updated:November 19, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার মাঝেও সরকার শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে। গত সোমবার গেজেটে এটি প্রকাশিত হয়। অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদের ২৩ অক্টোবরের সভায় নীতিগত অনুমোদন পায়।

    সরকারের আশা, নতুন নিয়ম শ্রমিকদের সংগঠন সহজ করবে এবং তাদের কর্মসংস্থান নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির বিধান পরিবর্তন করে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিকের সম্মতি ভিত্তিক নিয়ম এনেছে।

    নতুন নিয়ম অনুযায়ী:

    • ২০ থেকে ৩০০ শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন গঠনে ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকের সম্মতি লাগবে।
    • ৩০১ থেকে ৫০০ শ্রমিকের জন্য ৪০ জন,
    • ৫০১ থেকে ১,৫০০ শ্রমিকের জন্য ১০০ জন,
    • ১,৫০১ থেকে ৩,০০০ শ্রমিকের জন্য ৩০০ জন,
    • ৩,০০১ বা তার বেশি শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ৪০০ জন শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন।

    একটি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা সর্বোচ্চ পাঁচটি করা হয়েছে, যা আগে ছিল তিনটি। শ্রমিকদের সুরক্ষা আরও জোরদার করতে ভবিষ্যৎ তহবিলের বিধানও পরিবর্তিত হয়েছে। এ পর্যন্ত যা ঐচ্ছিক ছিল, এবার তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানে ১০০ স্থায়ী শ্রমিক থাকলেই মালিককে একটি ভবিষ্যৎ তহবিল গঠন করতে হবে। বিকল্প হিসেবে শ্রমিকরা চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রগতি’-তে অংশ নিতে পারবে। এতে শ্রমিক ও মালিক উভয়ই ৫০ শতাংশ চাঁদা দেবেন। তবে কোনো শ্রমিক স্কিমে থাকতে না চাইলে মালিকের অতিরিক্ত চাঁদা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

    শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক বা ইউনিয়নের সদস্যের চাকরি শেষ হলেও তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা যাবে না। তথ্যভান্ডার বা নোটিশের মাধ্যমে এ ধরনের তালিকা তৈরি করাও নিষিদ্ধ। মালিকপক্ষ কোনোভাবেই শ্রমিকদের প্রভাবিত করে ইউনিয়ন গঠন বা ভাঙার চেষ্টা করতে পারবে না।

    এর আগে বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অধ্যাদেশের কিছু বিধান, বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, দ্বৈত পেনশন স্কিম এবং শ্রমিক সংজ্ঞা দেশের বাস্তবতা ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এ ধরনের ধারা কার্যকর হলে শিল্পে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে, উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, পোশাকশিল্পসহ দেশের উৎপাদনমুখী শিল্প বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন অধ্যাদেশ’ অনুমোদন দিয়েছে। তবে টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনার পর প্রস্তাবিত ধাপে ধাপে শ্রমিক সংখ্যা নির্ধারণের ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব পরে উপদেষ্টা পরিষদ একতরফাভাবে পরিবর্তন করেছে। তিনি সতর্ক করেছেন, ‘মাত্র ২০ শ্রমিক দিয়ে ইউনিয়ন গঠন হলে এমন ব্যক্তিরা ইউনিয়ন করবে যারা শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। এটি শিল্পে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে। উৎপাদন ব্যাহত হবে, বিনিয়োগকারীর আস্থা কমবে এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন।’

    ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে জানান, শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-র কনভেনশনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনকে আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানসম্মত এবং শ্রমিক-উদ্যোক্তা উভয়ের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ করার লক্ষ্যেই সংশোধনগুলো করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিক সংজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে তারা শ্রম আইনের সুরক্ষার আওতায় আসবেন। নন-প্রফিট সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেও আইন কার্যকর হবে। শ্রমিকদের ব্ল্যাকলিস্টিং প্রথা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    শ্রমিক কল্যাণে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাইলট

    December 12, 2025
    অর্থনীতি

    ডলারের তুলনায় ভারতীয় রুপির দাম কমেছে রেকর্ড মাত্রায়

    December 12, 2025
    অর্থনীতি

    বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা

    December 12, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.