লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালের সফল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বড় পরিসরের আন্তর্জাতিক মানের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্প পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানা এবং কোনো সরকারি ঋণ ছাড়াই বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্প পিপিপি অথরিটি (পিপিপিএ) দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলেছে।
পিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক চৌধুরী বলেন, “লালদিয়া শুধুই একটি বন্দর নয়। এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মানের পিপিপি বাস্তবায়নে সক্ষম। এই সাফল্য আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়েছে এবং আরও বড় বিনিয়োগ আনার পথ প্রশস্ত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্প দেখিয়েছে, পিপিপি মডেল কার্যকর ও শক্তিশালী। আমরা কোনো জাতীয় সম্পদ বিক্রি না করেই এবং কোনো সরকারি ঋণ না নিয়েই বিশ্বমানের দক্ষতা ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছি। স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ মূল্য এনে দিয়েছে।”
লালদিয়া প্রকল্পে পিপিপিএর প্রধান অবদানগুলো হলো:
১. পুরো প্রকল্পের পিপিপি কাঠামো তৈরি ও সরকারী মালিকানা অক্ষুণ্ণ রাখা।
২. বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক মানের অপারেটর আকর্ষণ।
৩. কোনো সরকারি ঋণ ছাড়াই বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সুষম কনসেশন চুক্তি সম্পাদন।
৪. পরিবেশ, প্রোকিউরমেন্ট ও গভার্নেন্সসহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূর্ণভাবে অনুসরণ।
৫. আধুনিক প্রযুক্তি, অপারেশনাল দক্ষতা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে দেশের বন্দর খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন।
লালদিয়া প্রকল্পের সাফল্যের প্রেক্ষাপটে পিপিপিএ এখন বন্দর, লজিস্টিকস, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও নগর উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে পিপিপি প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

