রাজধানীর বাজারে মাছের দাম কিছুটা চড়া থাকলেও মুরগি ও ডিমের দাম কম থাকায় ক্রেতারা আপাতত এই দুই পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাল-নদীর পানি শুকিয়ে আসা এবং পর্যাপ্ত সামুদ্রিক মাছ বাজারে না আসায় দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০–৪৫০ টাকায়। পাবদার দাম ছোট সাইজে ৪০০, মাঝারি ৫০০–৬০০ টাকা। শিং ৪০০–৫০০, টেংরা ৬০০–৭০০, সরপুঁটি ৩০০–৪৫০, পুঁটি ২০০–২৫০, তেলাপিয়া ২৫০–৩০০, নাইলোটিকা ২২৫–২৮০ এবং পাঙাশ ও সিলভার কার্প ২০০–২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্যা ২৫০–৩০০ টাকা, কোরাল ৭০০–৯০০, আইড় ৬০০–৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা ও গলদা চিংড়ি ৭৫০–১,২০০ টাকা এবং ইলিশ—দুই কেজির ২,৬০০–৩,০০০, এক কেজির ২,২০০–২,৫০০ এবং ছোট জাটকা ৫০০–৭০০ টাকায়।
মুরগি ও ডিমের দাম কম থাকায় ক্রেতাদের ভরসা মিলছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬০–১৬৫ টাকা, সোনালি ২৯০–৩৩০, লেয়ার ৩৪০ টাকা। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২০, সাদা ১২০–১২৫ এবং হাঁসের ডিম ১৯০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরু-খাসির মাংসের বাজারে তেমন পরিবর্তন নেই। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০–৯৫০ এবং খাসি ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা মাছের দাম বেশি হওয়ায় ব্রয়লার মুরগি কিনে যাচ্ছেন। বনশ্রী এ ব্লক কাঁচাবাজারের ক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, “রুই–কাতলার দাম আগের মতো স্বস্তিদায়ক নয়। দেশি নদীর মাছের পরিস্থিতি খারাপ। বরং ব্রয়লার মুরগিই ভালো।”
রামপুরা বাজারের ক্রেতা মো. শাহীন বলেন, “মুরগির কেজি ১৫০–১৬০ টাকায় যুক্তিসংগত। ঢাকার বাইরে দাম ১২০–১৩০ টাকার মধ্যে। সামগ্রিকভাবে এই দাম ঠিক আছে।”
বাজার ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম বেশি। বনশ্রী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কাদের মিয়া বলেন, “নদীর মাছ কমে গেছে, পাইকারি বাজারেও চাপ আছে। দাম কমানোর সুযোগ নেই।”
পোলট্রি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন যোগ করেন, “ফিড ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম আগের স্তরে নামানো কঠিন। তবে ব্রয়লার মুরগি ঠিক আছে, দাম কিছুটা কমলেও বিক্রি ভালো হয়।”

