রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে নতুন কোনো অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। অন্তত চারজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই অভিযানের সময়, মাত্রা বা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না—এখনও তা স্পষ্ট নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছিল, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশেষ করে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পর এ আশঙ্কা আরও দৃঢ় হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, নতুন উদ্যোগের প্রথম ধাপ হিসেবে সম্ভবত গোপন অভিযান চালানো হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও দায়ীদের বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রয়োজন হলে ভেনেজুয়েলায় সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ নিতে রাজি।” যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, মাদুরো সরকার দেশটিতে প্রাণঘাতী মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত, যা মাদুরো স্বীকার করেননি।
রয়টার্স জানায়, মার্কিন প্রশাসন মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার সম্ভাবনাও বিবেচনা করছে। গত কয়েক মাস ধরে ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন সামরিক মহড়া চলছিল, এবং এ পরিস্থিতিতে নতুন অভিযান শুরুর সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোকে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় “সম্ভাব্য ঝুঁকি” বিষয়ে সতর্ক করেছে। এর প্রভাবে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলও হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র একটি স্থানীয় মাদক কার্টেলকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, এই কার্টেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাদুরো। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ বলছেন, এ ধরণের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলায় আরও কার্যকর বিকল্প গ্রহণের সুযোগ দেবে।
তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগও খোলা রয়েছে। একই সময়ে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কিছু বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে, যা নতুন অভিযানের সময় ও মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভেনেজুয়েলা থেকে রয়টার্সের এই তথ্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে, দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ আরও বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে, এবং মাদুরো সরকারের ভবিষ্যত এখন অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে।

