Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Wed, Nov 26, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » বিনিয়োগ কমে গেছে ভয়ংকর মাত্রায়
    অর্থনীতি

    বিনিয়োগ কমে গেছে ভয়ংকর মাত্রায়

    মনিরুজ্জামানNovember 25, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    উত্তরাধিকারসূত্রে দায়িত্ব নেওয়া সরকারের হাতে একটি পঙ্গু অর্থনীতি ছিল। পরবর্তী ১৫ মাসে ক্ষত কিছুটা সেরে উঠলেও অর্থনীতি পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। ফলে নির্বাচনের পরে নতুন সরকারও একটি গতিহীন অর্থনীতির সঙ্গে মোকাবিলা করবে। মূল কারণ বিনিয়োগে মন্দা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দীর্ঘ মন্দার মুখে পড়া বিনিয়োগ তেমন দেখা যায়নি।

    অর্থনীতির সমস্যা দীর্ঘ। জ্বালানির সংকট, আর্থিক খাতের দুরবস্থা, উচ্চ সুদহার, মূল্যস্ফীতি, মজুরি বৃদ্ধির কম হার, ক্রয়ক্ষমতার পতন—এসব আগের মতোই আছে। তবে বর্তমান সরকারের সময়ে যুক্ত হয়েছে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। এ কারণে মানুষ ও ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক আস্থা হারিয়েছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি স্থির, বিনিয়োগ কম এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। তাই অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও খুব সামান্য। বাংলাদেশে এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.১৭ শতাংশে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য ও সীমাবদ্ধতা:

    অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা। প্রবাসী আয় বেড়েছে, শুরুতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যদিও পরে তা কিছুটা কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন আটকানো গেছে। আমদানি এখনো অনেক কম থাকলেও আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ফিরে এসেছে।

    ডলারের দরও এখন স্থিতিশীল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে ডলারের দর সর্বোচ্চ স্থরে পৌঁছেছিল এবং প্রায় এক জায়গায় স্থির ছিল। এরপর কিছুটা বেড়ে সেই উচ্চ দরেই ডলার স্থিতিশীল রয়েছে। এই সুযোগে বিনিময় হারকে প্রায় বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগও কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো নির্দেশ করছে, আগের সরকারের তুলনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে।

    তবে সাধারণ মানুষকে এখনও দুর্ভাগাই বলতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই তাদের দিন কাটছে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, ক্রয়ক্ষমতা ও বাজারে প্রভাবিত হওয়া নানা দিক দিয়ে সাধারণ মানুষ এখনও প্রভাবিত। অর্থনৈতিক সাফল্যের ছোঁয়া সীমিত হলেও তা সামষ্টিক ছবিতে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

    বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি:

    বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনো ৮ শতাংশের বেশি, যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত অক্টোবরে এই হার দাঁড়িয়েছে ৮.১৭ শতাংশে। তুলনায় পাশের দেশ ভারতে মূল্যস্ফীতি ০.২৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ২.১ শতাংশ। পাকিস্তানের হার ৬.২ শতাংশ, আর ভুটান ও মালদ্বীপের যথাক্রমে ৩.৯৩ এবং ৩.৮৭ শতাংশ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামান্য সান্ত্বনা মিলেছে। নেপালে ওলি সরকারের পতনের পর ১২ সেপ্টেম্বর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ৫ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। অনিশ্চয়তা কিছুটা কমেছে, যার প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে পড়েছে। এই হার সামান্য কমে ১.৪৭ শতাংশে এসেছে।

    তবে সাধারণ মানুষের জীবন এখনও স্বস্তিদায়ক হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মানুষকে থাকতে হচ্ছে। সমস্যা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কম মজুরি বৃদ্ধির কারণে প্রকৃত আয়ে ক্ষতি হয়েছে, দারিদ্র্য বেড়েছে। বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে দারিদ্র্যের হার প্রায় ২৮ শতাংশ, যা সরকারি হিসাবে ২০২২ সালে ১৮.৭ শতাংশ ছিল।

    বিশ্বব্যাপী কোভিড ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশগুলো সুদহার বাড়িয়ে মুদ্রা সরবরাহ কমিয়েছে। তবে আগের সরকারের সময় বাংলাদেশে উল্টো পথে গিয়েছিল—মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানো হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নতুন গভর্নর নিযুক্ত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে সুদহার বৃদ্ধি পায়, ফলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে গতি খুব ধীর।

    বেসরকারি বিনিয়োগও এখনো কম। এর পেছনে জ্বালানিসংকট, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা, আমলাতন্ত্র ও ডলারের দর—এসব রয়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের মতে সবচেয়ে বড় কারণ হলো অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা অর্থাৎ, সামষ্টিক অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন এখনও সংকটাপন্ন। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ঝাপটা লাগাতে পারছে না দেশের অর্থনীতি।

    মানুষের আস্থা কমছে:

    অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে মানুষ ভবিষ্যতে খরচ ও বাজার পরিস্থিতি দেখে ধারণা করে সামনের দিনে মূল্যস্ফীতি বাড়বে কি কমবে। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশ এ সূচক অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করে। তবে বাংলাদেশে এ নিয়ে যথাযথ কাজ হয়নি।

    দেশের মানুষও বিশ্বাস করছে না যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমবে। সরকারের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। বিদেশ সফর, বিপুল বাজেট খরচ, পুলিশের পোশাক পরিবর্তন—এসব দেখে মানুষ বাজারে গিয়ে দেখছে জীবনযাপনের খরচ ক্রমবর্ধমান, অথচ আয়ের বৃদ্ধির তেমন কোন চিহ্ন নেই। চাকরির বাজার সংকুচিত, অনেক ব্যাংক থেকে আমানতের টাকা তুলতেও সমস্যা।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার তেমন কঠোর নয়। আছে নানা অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। ফলে মানুষ মনে করছে, মূল্যস্ফীতি অনেক কমবে এমন প্রত্যাশা খুবই কম। অন্যদিকে, সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ব্যাপক ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটাচ্ছে। আয় কম, ব্যয় বেশি। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে সরকার রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মিটিয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় মানুষের আস্থা আরও ক্ষীণ হচ্ছে।

    সবচেয়ে অস্বস্তিকর দুই সূচক:

    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দুটি সূচক বিশেষভাবে অস্বস্তিকর ছিল—সরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধি ও বেসরকারি খাতের ঋণের পতন। আগের বছরের একই সময়ে সরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধির হার ছিল ১১.৬১ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৮৬ শতাংশ। বর্তমান সময়ে সরকারি খাতের ঋণ বেড়ে ২৭.২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু বেসরকারি খাতের ঋণ কমে ৬.২৯ শতাংশে নামেছে। সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ব্যাপক ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মিটাচ্ছে। আয় নেই, ব্যয় বেশি। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে সরকার রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মিটিয়েছিল, যা ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।

    বেসরকারি খাতকে উপেক্ষিত রাখা হয়েছে। কমে গেছে বেসরকারি ঋণ, যা বিনিয়োগে মন্দার সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। গত দুই দশকের মধ্যে এটির প্রবৃদ্ধি এবারই সবচেয়ে কম। যদিও সরকার সুদহার বাড়িয়েছে, বাংলাদেশে সুদহার কখনোই বিনিয়োগের একমাত্র নির্ধারক ছিল না। সুদহার কমলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ তৈরি হতো। ১০ নভেম্বর মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার-সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের বৈঠকে অর্থ, পরিকল্পনা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সুদহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বর্তমানে সুদহার কমানোর বিপক্ষে।

    সরকার ঋণ নিয়ে বেশি ব্যয় করছে, কিন্তু উন্নয়ন ব্যয় কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৮.৩৩ শতাংশে। এর আগের অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল সাম্প্রতিক সময়ে সর্বনিম্ন। উন্নয়ন বাজেটের এই করুণ দশার কারণে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও চাঞ্চল্য তৈরি হচ্ছে না, নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে না। অন্যদিকে, আগের আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংসপ্রায় ব্যাংক খাত রেখে গিয়েছিল। নতুন সরকার লুকানো খেলাপি ঋণ প্রকাশ্যে এনেছে, যা একটি ইতিবাচক দিক। তবে বিপদ থেকে পুরোপুরি রক্ষা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

    বেসরকারি বিনিয়োগ না হওয়ার পেছনে জ্বালানিসংকট, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, আমলাতন্ত্র এবং ডলারের দর রয়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের মতে সবচেয়ে বড় বাধা হলো সমসাময়িক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। এ আস্থাহীনতা দূর না হলে বিনিয়োগে জড়তা কাটানো যাবে না।

    খেলাপি ঋণ ও বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ:

    বাংলাদেশে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা কিছুটা এসেছে, তবে মানুষের দৈনন্দিন জীবন এখনও সংকটাপন্ন। অন্তর্বর্তী সরকার সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে কিছু সাফল্য পেয়েছে। প্রবাসী আয় বেড়েছে, রপ্তানি আয়ে সাময়িক প্রবৃদ্ধি ছিল, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন রোধ করা গেছে। ডলারের দর স্থিতিশীল রয়েছে, বিনিময় হার প্রায় বাজারভিত্তিক করা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগও কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সমস্যা বহুগুণ। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে—গত অক্টোবরে ৮.১৭ শতাংশ। মানুষের আস্থা কমেছে, কারণ সরকারি ব্যয় বাড়ছে, কৃচ্ছ্রসাধনের দাবি বাস্তবে নেই, চাকরির বাজার সংকুচিত, ব্যাংক থেকে আমানতের টাকা তুলতেও সমস্যা হচ্ছে।

    অর্থনীতির সবচেয়ে অস্বস্তিকর সূচক হলো ঋণ ও বিনিয়োগ। সরকারি খাতের ঋণ বেড়ে ২৭.২২ শতাংশ, কিন্তু বেসরকারি খাতের ঋণ কমে ৬.২৯ শতাংশে নামেছে। উন্নয়ন ব্যয়ও কমে গিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৮.৩৩ শতাংশে। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও নতুন কর্মসংস্থান বা চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে না।

    আরেক দুশ্চিন্তার বিষয় হলো খেলাপি ঋণ। এশিয়ায় বাংলাদেশ এখন শীর্ষে। ২০২৩ সালে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ শতাংশ, এখন বেড়ে ২৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বিশ্বের তুলনায় ইকুয়েটরিয়াল গিনি (৫৫.৪১%), সান মারিনো (৫৩.১৪%), ইউক্রেন (৩৭.৪%) এবং চাদের (৩১.৫%) খাতের ঋণ বেশি। আগের সরকার ধ্বংসপ্রায় ব্যাংক খাত রেখে গিয়েছিল। নতুন সরকার লুকানো খেলাপি ঋণ প্রকাশ্যে এনেছে, তবে এটি কমানো কঠিন। বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে, কিন্তু কিছু সরকারি ব্যাংক তা মানছে না এবং বিরোধও উঠেছে।

    বেসরকারি বিনিয়োগও খুবই কম। জ্বালানিসংকট, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, আমলাতন্ত্র এবং ডলারের দর—এসব সমস্যা রয়েই গেছে। উদ্যোক্তাদের মতে সবচেয়ে বড় বাধা হলো অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। বেসরকারি খাতের আস্থাহীনতা দূর না হলে বিনিয়োগে জড়তা কাটবে না। সব মিলিয়ে নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ অনেক। ঋণ, খেলাপি ঋণ, কম বেসরকারি বিনিয়োগ ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের দক্ষতা ও নীতি প্রয়োগের ওপর।

    নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ:

    নতুন নির্বাচিত সরকার একটি গতিহীন অর্থনীতিই হাতে পাবে। তবে সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু সূচক স্থিতিশীল আছে। এর ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে, আর্থিক খাতকে ঠিক রাখতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে আমদানি বেড়ে যাবে, যার ফলে ডলারের দর ও রিজার্ভের ওপর চাপ পড়বে। বর্তমানে ডলারের চাহিদা কম থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চাহিদা বেড়ে গেলে তা সামাল দিতে রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে। অর্থাৎ সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে সরকারকেই।

    সব মিলিয়ে নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ অনেক। কতটা দক্ষতার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে, তার ওপরই নির্ভর করছে দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    বিনোদন

    ভোটের আগে রাজনৈতিক জটিলতা

    November 25, 2025
    অর্থনীতি

    আইপিও নীতিমালা হোক বিনিয়োগবান্ধব

    November 25, 2025
    অর্থনীতি

    এলডিসি উত্তরণের রোডম্যাপে সরকারের বার্তা

    November 25, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.