চীন থেকে আমদানীকৃত ১৪৬টি শিল্প ও চিকিৎসা পণ্যের শুল্কছাড় আরও এক বছর বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক বাণিজ্য আলোচনার ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত জানায় মার্কিন প্রশাসন। এতে যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেও কিছু পণ্যের আমদানি স্বস্তিতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে চীনের মেধাস্বত্ব–সংক্রান্ত আচরণের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক ধাপে শুল্ক আরোপ করে। তৎকালীন ঘোষণায় হাজারো পণ্যের ওপর কর বাড়ানো হলেও শিল্প ও চিকিৎসা ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু পণ্য শুল্কছাড় পায়। সেই ছাড়ের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল। নতুন ঘোষণা ফলে এসব পণ্য অন্তত আরও এক বছর বাড়তি খরচের বাইরে থাকবে।
মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের তথ্যে জানা যায়, শুল্কছাড় পাওয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ–সম্পর্কিত ১৪টি বিভাগ। পাশাপাশি ইলেকট্রিক মোটর, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, পাম্পের যন্ত্রাংশ, গাড়ির এয়ার কমপ্রেসার ও প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডসহ মোট ১৬৪টি শিল্প ও চিকিৎসা–সংক্রান্ত পণ্য রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৬টি পণ্য চীনা আমদানির আওতায় পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, শিল্প উৎপাদন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে শুল্কছাড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বৈশ্বিক সরবরাহচেইন এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল না হওয়ায় হঠাৎ শুল্ক বাড়লে উৎপাদন ব্যয় বাড়তে পারে, যা ভোক্তাদের ওপরও চাপ তৈরি করবে। তাই বর্তমান বাস্তবতায় ছাড় বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এ সিদ্ধান্ত শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও উৎপাদন ব্যয়ে স্থিতি আনবে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা পুরোপুরি দূর না হলেও নির্দিষ্ট কিছু খাতে প্রশমনের ইঙ্গিত মিলছে। তবে ভবিষ্যতে এই তালিকা পরিবর্তন হবে কি না, বা আরও পণ্য যুক্ত হবে কি না—তা এখনো স্পষ্ট নয়। দুই দেশের আলোচনার অগ্রগতি এই সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

