ভারতের মুদ্রা রুপির দরপতন অব্যাহত রয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ৯০ পেরিয়ে গিয়েছে। আজ শুক্রবার তা নতুন রেকর্ড গড়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া ভ্রমণকারীরা সুবিধা পাবেন।
আজ শুক্রবার ভারতীয় মুদ্রার দাম ২৪ পয়সা কমে প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৫৬-এ। বৃহস্পতিবার দাম ছিল ৯০ দশমিক ৩২। এটাই রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন দর। খবর ইকোনমিক টাইমস।
চলতি বছরের শুরু থেকেই রুপির অবস্থা টালমাটাল। ধারাবাহিকভাবে দাম কমছে। বছরের শেষ প্রান্তে এসে তা রীতিমতো খাদের কিনারায় চলে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত জটিলতা রুপির দরপতনের মূল কারণ। সম্প্রতি ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিও আলোচনার জন্য ভারতে এসেছেন। তবুও রুপির দর পতন থামানো সম্ভব হয়নি।
রুপির দরপতনের আরও কিছু কারণ আছে। আমদানিকারীরা ডলার কেনায় ব্যাপকতা দেখাচ্ছেন। ভারতের শেয়ারবাজার থেকে চলতি বছরে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ চলে গেছে। সম্প্রতি এই ধারা আরও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন ধাতুর মূল্য বৃদ্ধি রুপির ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
সংবাদে বলা হয়েছে, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ৮৯ পেরোনোর পর তা পুনরুদ্ধার করতে পারছে না। ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রার খেতাবও পেয়েছে রুপি। শুধু ডলার নয়, ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন ও চীনা ইউয়ান—প্রধান চারটি মুদ্রার বিপরীতেও রুপির দর কমেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা এখন উদ্বিগ্ন। রুপি স্থিতিশীল হবে কি না, এবং ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তিতে স্পষ্টতা আসবে কি না, তা এখন গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশিদের ওপর প্রভাব:
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া ভ্রমণকারীরা ডলার ভাঙলে আগের চেয়ে বেশি রুপি পাবেন। বাংলাদেশে ডলারের দাম দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল, প্রায় ১২২ টাকার মধ্যে রয়েছে। দেশের বাজারে ডলারের দাম স্থিতিশীল, আর ভারতে রুপির দরপতন—এই অবস্থায় বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা সুবিধা পাবেন। যদিও ভিসা–নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে ভারতে খুব বেশি বাংলাদেশি যেতে পারছেন না।

