বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে চাষিদের আখের দাম পরিশোধে বাজেট থেকে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা চেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব আয়ের মাধ্যমে পুরো পরিশোধ করতে পারছে না।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ দুই দফায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। বাকি অর্থের জন্য আবার শিল্প মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, চলতি ২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুমের সর্বশেষ ফলন জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৯টি চালু মিলের মধ্যে কেরু অ্যান্ড কোং বাদে আটটি মিলের আখ মাড়াইয়ের জন্য মোট ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টন আখ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ আখের দাম পরিশোধে অর্থ বিভাগ ইতোমধ্যে দুই দফায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই অর্থ দিয়ে আখের মাত্র ৩১ শতাংশ দামের পরিশোধ সম্ভব। তাই বাকি অর্থ বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বিএসএফআইসির আয় থেকে এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ম রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে থাকায় ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঋণটি ২০ বছরে (পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ) ৫ শতাংশ সুদে ষাণ্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে দেওয়া হয়। এবার সরকারের আর্থিক সংকটের কারণে দুই দফায় ১৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো অনেক পুরোনো। যন্ত্রপাতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। মেরামত, প্রতিস্থাপন ও সংস্কার ছাড়া চিনিকলগুলোকে লাভজনক করা সম্ভব নয়। এছাড়া উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণও এখন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।

