আজ বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, রাজধানীর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ দেশের মূল্যস্ফীতি ও বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি জিনিসটা অনেক জটিল। এটি হঠাৎ করে বেড়ে যায়নি। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যস্ফীতি ১ শতাংশ কমেছে। আপনারা স্বস্তি পাবেন, অধৈর্য হবেন না।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজারে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে বলেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। একটু সময় লাগবে। ইতিমধ্যে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়েছি। আজ চিনির ওপর থেকে শুল্ক কমানো হলো।”
তিনি আরও বলেন, “বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। আজ মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলএনজি আমদানি ও সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। স্বস্তি পাবেন আপনারা।”
মূল্যস্ফীতির পেছনের কারণ সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, “এখানে বাজারের একটি বিষয় রয়েছে। বাজার তদারকি ব্যবস্থার বিষয় আছে। পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদন হলেও তার বিপণনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক জায়গায় পুরোনো লোক চলে গেছে। নতুন লোক আসা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।”
চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেন, “চাঁদাবাজি কমেনি তা নয়; চাঁদাবাজি কমেছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাতবদল হওয়ার যে অবস্থা, তা বর্তমানে স্বাভাবিক হয়নি।”
আসন্ন ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যক্রম ও বাজার পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে।