তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হওয়ার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে তারা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে ও দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত। সেখানে থাকা একজন ব্যক্তি নিজেকে বিদ্যালয়ের পিয়ন পরিচয় দিয়ে জানান, “শিক্ষকরা আন্দোলনে গেছেন, তাই ক্লাস বন্ধ।”
গতকাল শনিবার বিকেলে শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশি লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস শেল, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে শতাধিক শিক্ষক আহত হন।
শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, পুলিশ হামলা চালিয়েছে বিনা উসকানিতে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষকেরা বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগোলে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
শিক্ষকরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তার অংশ হিসেবে আজ তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান এবং বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।
বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫,৫৬৭টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৬ লাখের বেশি, শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
সহকারী শিক্ষকেরা বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। তারা দাবী করছেন বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে। এছাড়া তাদের অন্য দুটি দাবি হলো শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

