দক্ষিণ কোরিয়ার ৮১ বছর বয়সী চে-সুন হুয়া সম্প্রতি ‘মিস ইউনিভার্স কোরিয়া’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন। মাথার সব চুল সাদা হলেও তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং সাহসিকতা হারাতে দেননি তিনি। পূর্বে এই প্রতিযোগিতার জন্য বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ২৮ বছর, কিন্তু এবার এই সীমা উঠিয়ে নেওয়ার ফলে তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
চে-সুন হুয়া বলেন, “সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বয়সসীমা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে শুনে আমি ভাবলাম, বাহ্, দারুণ। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।” তাঁর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা, এবং জীবনযাত্রার প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত ইতিবাচক।
যদিও তিনি বিজয়ী হতে পারেননি, তবে চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নিয়ে কম বয়সি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছেন। সেখানেই তিনি ‘বেস্ট ড্রেসড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন, যা এই প্রতিযোগিতার তাঁর অংশগ্রহণের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
চে-সুন হুয়ার এই সাহসী পদক্ষেপ সমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর গল্প কেবল ব্যক্তিগত সাহসেরই উদাহরণ নয়, বরং এটি দেখিয়েছে যে বয়সের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে স্বপ্ন দেখার এবং সেগুলি বাস্তবে রূপায়িত করার সম্ভাবনা সবসময় থাকে।
এই অনন্য প্রতিযোগিতা দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে বয়সের ধারণাকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সৌন্দর্য এবং আত্মবিশ্বাসের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। চে-সুন হুয়ার মতো আরও অনেকে এই নতুন সুযোগের মাধ্যমে নিজেদের সঠিক পরিচয় খুঁজে পেতে পারেন।
সূত্র: রয়টার্স