বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেন ১৯৯৪-তে যেমন দেখতে ছিলেন, এখনও খানিকটা এক রকম। দেখলে কেউ বলবে না তার বয়স ৪৯! বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনকে দেখে বয়স অনুমান করাটা মুশকিল। এত টানটান ত্বক, টোনড ফিগারের রহস্য কী, কীভাবে নিজেকে ফিট রাখেন- তা এক সাক্ষাৎকারে খোলাসা করেছেন এই বিশ্বসুন্দরী অভিনেত্রী।
বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা জানান, এক বিশেষ পানীয় তাকে সারাদিন চনমনে ও ফিট রাখতে সাহায্য করে। কীভাবে দিন শুরু করেন, সারাটা দিন কীভাবে কাটান, সবটাই শেয়ার করেন তিনি। ২০২৩-এ টুইক ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স তার সকালের রুটিন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। জানান, প্রতিদিন সকাল শুরু হয় এক গ্লাস গরম জল ও লেবুর রস দিয়ে। সাধারণত সকালে হালকা গান শোনেন তিনি। ধীরে ধীরে শরীরচর্চায় ঢোকেন। এই সময়ে বেশি চিৎকার বা আওয়াজ পছন্দ নয় তার। একই গান লুপে শোনেন, যা নাকি তার কাছে “মুভিং মেডিটেশন” হয়ে ওঠে।সাবেক বিশ্ব সুন্দরী অভিনেত্রী বলেন, “আমি চেষ্টা করি ফোনে হাত না দিতে, তবে সবসময় সেটা হয়ে ওঠে না”।
সুস্মিতা কীভাবে এত ফিট রাখেন নিজেকে, উত্তরে সুস্মিতা জানান, আগে প্রচুর ব্যায়াম করতেন। কঠোর পরিশ্রম করতেন। ঘাম ঝরাতেন। প্রথমে এক ঘণ্টা ওয়ার্ম-আপ, তারপরে দু’ঘণ্টা এক্সারসাইজ ও তারপর ৩০ মিনিট কুল-ডাউন। তবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং এই রুটিনে একটু পরিবর্তন আনতে হয়। এখন তিনি হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং করেন সকালে উঠে।
তাহলে কি ব্যায়ামকে বিদায় জানিয়েছেন সুস্মিতা! তার কথায়, আগামী ছয় মাসে তিনি আবার পুরোনো ব্যায়ামের রুটিনে ফিরতে পারবেন। ব্যায়াম, যোগচর্চা ও জীবনশৈলীই কি সুস্মিতা সেনের ঝকঝকে ত্বকের রহস্য কি না, প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, “আমার ত্বক পরিচর্যার নিয়ম খুবই সহজ। আমি মেকআপ সাধারণত করি না, শুধু কাজের জন্য করতে হয়। ক্লিনজিং মিল্ক, টোনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করি”। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অবশ্যই জরুরি, যদিও আমি সেরকম ব্যবহার করি না”। এই অভ্যাসগুলো সুস্মিতাকে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও ভালো রাখে। আর এর পাশাপাশি তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণাও যোগাচ্ছেন।