শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় নিম্নে তিনজন সাংবাদিক নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হাসবায়াতে মিডিয়ার ব্যবহৃত কয়েকটি অতিথি নিবাসে তারা নিন্দায় ছিল বলে এমনটাই জানায় লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
একাধিক সংস্থা আলাদা আলাদা বিবৃতিতে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানপন্থী সংবাদ সংস্থা আল মায়াদীনের ক্যামেরা কর্মী ঘাসান নাজ্জার ও ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ রেদা এবং হিজবুল্লাহর আল-মানারের হয়ে কর্মরত ক্যামেরা কর্মী উইসাম কাসেম।
ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তারা সাধারণত ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের হামলার অভিযোগকে অস্বীকার করে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘাতের এক বছরে এই হামলাই মিডিয়ার উপর সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাতের দিন।
সংঘাত চলাকালে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এর পূর্বে রয়টার্সের ভিজুয়াল সাংবাদিক আইসাম আবদাল্লাহ-সহ পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন।
হাসবায়া শহরে মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে এ শহরের একাধিক হামলা হয়েছে, তবে শুক্রবার রাত তিনটের দিকে প্রথম শহরের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি বলেছেন, “এটা যুদ্ধাপরাধ।” স্কাই নিউজ, আল জাজিরা ও লেবাননী সম্প্রচারকারীসহ ছয়টি সংবাদ সংস্থার কমপক্ষে ১৮ জন সাংবাদিক ওই অতিথিনিবাসে ছিলেন।
লেবাননের সংবাদ সংস্থা আল-জাদিদে কর্মরত সংবাদদাতা মুহম্মদ ফারহাত রয়টার্সকে জানায়, “আমরা শুনতে পেলাম, খুব নিচু থেকে বিমান উড়ছে , সেটার আওয়াজ আমাদের জাগিয়ে তোলে এবং তারপর আমরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেলাম।”
তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকটি বাংলোবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ফুটেজে উল্টে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে “প্রেস” লেখা রয়েছে।
এই সংস্থার এক্স অ্যাকাউন্টে আল-মায়াদীনের অধিকর্তা ঘাসান বিন জিদ্দো বলেছেন, এই হামলা “ইচ্ছাকৃত।”