যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্য উপযুক্ত প্রার্থীদের খোঁজ শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসের নাম। ৬৭ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ কৌশলবিদ হতে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ, যা আমেরিকান রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করতে চলেছে।
ট্রাম্পের এ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সুসি উইলস একজন অভিজ্ঞ এবং বলিষ্ঠ রাজনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে সুপরিচিত। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় সুসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যেখানে তিনি ট্রাম্পের দুই প্রচার ব্যবস্থাপকের একজন হিসেবে ক্রিস লাসিভিটারের সাথে মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে ট্রাম্প পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০ জানুয়ারি তার শপথগ্রহণের পূর্বে প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে তাঁর পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করছেন।
হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি সাধারণত প্রেসিডেন্টের “গেটকিপার” বা দ্বাররক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থাকা ব্যক্তির ক্ষমতা ও প্রভাব অনেক। তিনি প্রেসিডেন্টের সময়সূচি নির্ধারণ, কর্মীদের কার্যক্রম তদারকি এবং সরকারের অন্যান্য শাখা ও আইনপ্রণেতাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন। ট্রাম্প তাঁর বিবৃতিতে সুসিকে একজন “বলিষ্ঠ, স্মার্ট এবং উদ্ভাবনী” হিসেবে উল্লেখ করেন, যার প্রতি সবার সর্বজনীন শ্রদ্ধা রয়েছে। ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সুসি তাঁর দায়িত্ব পালনে যুক্তরাষ্ট্রকে গৌরবান্বিত করবেন।
ট্রাম্প বর্তমানে ফ্লোরিডার পাম বিচে তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাবে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোর জন্য মনোনীত প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করছেন। চারটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, যাদেরকে তিনি বিবেচনা করছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই তাঁর আগের প্রশাসনের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময়কার শৃঙ্খলাপূর্ণ কাজ এবং সুসির কৌশলগত দক্ষতা তাঁকে এই পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
নির্বাচনী বিজয়ের পর দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প তাঁর এই দুজন প্রচার ব্যবস্থাপক—সুসি ও ক্রিস লাসিভিটার—কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। এবারের প্রচার কার্যক্রমের সাফল্যের পেছনে তাদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। যা আগের প্রচারণাগুলোর চেয়ে অনেক বেশি পরিকল্পিত ও সংগঠিত ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।