প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে বায়ুদূষণের পরিস্থিতি। নয়াদিল্লিতে প্রতি বছরই এ ধরনের ধোঁয়াশা দেখা দিলেও এবার পরিস্থিতি অন্যান্য বারের থেকে অনেক ভয়াবহ। প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে ফসল কাটার পর খড় পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া এর অন্যতম কারণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের থেকেও ৫৭ গুণ বেশি বিষাক্ত ক্ষুদ্র কণা পিএম ২.৫ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে ভারতের রাজধানীর বাতাসে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি মারাত্মক বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া বাকি সব শ্রেণির সশরীরে ক্লাস বাতিল করা হচ্ছে বলে জানান, নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশি মারলেনা।
নয়াদিল্লি ও এর আশেপাশের মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট তিন কোটি মানুষের বসবাস। শহরটি শীত মৌসুমে নিয়মিত ‘সবচেয়ে দূষিত বাতাসের’ নগরের খেতাব অর্জন করে।
বিষাক্ত মাইক্রোপার্টিকেলের পরিমাণ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ৩৯ গুণ বেশি ছিল আজ সকালে। গভীর, ধূসর ও কটু গন্ধযুক্ত ধোঁয়াশার চাদরে আবৃত ছিল শহর। শহরবাসীর স্বাস্থের কথা বিবেচনা করে এ অবস্থায় সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।
তাপমাত্রা হ্রাস, ধোঁয়া, ধূলিকণা, বাতাসের কম গতি, যানবাহন থেকে ধোঁয়া নির্গমন এবং ফসলের খড় পোড়ানোর কারণে শীতকালে দিল্লি ও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো প্রতি বছর ধোঁয়াশার সম্মুখীন হয়।
বিবিসি প্রতিবেদন জানায়, দিল্লি ও আশপাশের শহরগুলো ব্যাপক মাত্রায় দূষণের কবলে পড়েছে যেটাকে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও সূক্ষ্ম কণার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি ছিল দিল্লির বাতাসে।
সোমবার সকাল থেকে নির্দেশনা জারি করা হয় যে, সড়কে ডিজেল চালিত ট্রাক ও নির্মাণকাজের ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের যতটা সম্ভব ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।