ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাতে ইসরায়েলের জন্য তৈরি করা ‘২০০০ পাউন্ডের’ শক্তিশালী বোমার একটি চালান আটকে দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরের পর এবার ইসরায়েলকে ২০০০ পাউন্ডের বোমা সরবরাহের স্থগিতাদেশ তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থগিতাদেশ তুলে নিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম এয়ার ফোর্স ওয়ানের এক প্রতিবেদনে অনুসারে দেখা যায়, শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানায়- তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীকে ইসরায়েলে ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা সরবরাহের ওপর সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প জানায়, “বোমার চালানটি আমরা ছেড়ে দিয়েছি। ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা সরবরাহের চালানটি আমরা আজ ছেড়ে দিয়েছি। এবং তারা (ইসরায়েল) সেটি পাবে। তারা (ইসরায়েল) এটির জন্য অর্থ প্রদান করেছিল এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটির জন্য অপেক্ষা করছে।”
প্রতিবেদন অনুসারে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় বেসামরিক জনগণের ওপর, বিশেষ করে গাজার রাফায় এই বোমার প্রভাব কতটা ভয়ানক হতে পারে, সে বিষয়ে উদ্বেগের কারণে বাইডেন এই বোমা সরবরাহের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা শক্তিশালী অবকাঠামো ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারে।
এর পূর্বে গত বছর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে ২০০০ পাউন্ড ওজনের হাজার হাজার বোমা পাঠিয়েছিল কিন্তু একটি চালান আটকে রেখেছিল।
বাইডেন ও ট্রাম্প দুজনই ইসরায়েলকে সমর্থন করেছে। এদিকে শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প জানিয়েছে, তিনি বিশ্বে শান্তি আনা ও সব যুদ্ধ বন্ধের জন্য কাজ করবেন।
তবে ট্রাম্প যে এমন উদ্যোগ নেবেন, সেটা আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। এরমধ্যেই জানা গেল, ইসরায়েলকে বিধ্বংসী এসব বোমা দিতে যাচ্ছেন তিনি। গাজার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে গত সেপ্টেম্বরে ‘২০০০ পাউন্ডের’ একটি বোমা ফেলেছিল ইসরায়েলি সেনারা। এতে সেখানে ৩৩/৫০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল।