জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থার প্রধান সম্প্রতি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই মার্কিন সাহায্য অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে বিশ্বে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউএনএইডসের প্রধান উইনি বিয়ানইমা। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জাতিসংঘে ইউএনএইডসের এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উইনি বিয়ানইমা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ৬০ লাখ রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউএনএইডসের জানান, এই প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সাহায্যদাতা ছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে কার্যত পুরো সাহায্যই বন্ধ করে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন ২৫ বছর ধরে যে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের রাস্তা তৈরি হয়েছিল, তা কয়েকদিনের মধ্যে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। এমন চলতে থাকলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।
বিয়ানইমা আরও জানান যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য যদি অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা পূরণ না করে, তা হলে আগামী চার বছরে অন্তত ৬০ লাখ অতিরিক্ত রোগীর মৃত্যু হবে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এখন যাদের চিকিৎসা চলছে। সাহায্য না পেলে তাদের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় বিয়ানইমার বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করার পর এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ সেই পূরণের আগ্রহ দেখায়নি।
জাতিসংঘের তথ্যমতে- ২০২৩ সালে এইডস রোগে অন্তত ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিয়ানইমার আশঙ্কা এমন চলতে থাকলে ১৯৯০ দশকের মহামারির চেহারা নিতে পারে এইডস। বস্তুত: ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এইডস।
শুধু আফ্রিকা নয় ল্যাটিন আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপে এই রোগ আরো ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের আধিকারিক। এখন যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। এভাবে সাহায্য বন্ধ করার বিষয়টি আরেকবার খতিয়ে দেখার আর্জি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানিয়েছেন বিয়ানইমা। তার বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য কমানোর যে কথা বলছে, তা যুক্তিসংগত। কিন্তু এভাবে আচমকা পুরো টাকা বন্ধ করে দিলে কী ভয়ংকর সংকট তৈরি হতে পারে, তা তাদের বোঝা উচিত।