গত তিন দিনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের কয়েকটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির উদ্দেশে অন্তত ৩০টি কেসি-১৩৫ ট্যাংকার যুদ্ধবিমান উড়ে গেছে। ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির অনুসন্ধানে জানা গেছে, কেসি-১৩৫ বিমানগুলো যুদ্ধবিমান হলেও এগুলো সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় না। এগুলো মূলত ট্যাংকার বিমান, যার কাজ অপারেশনে ব্যবহৃত যুদ্ধ ও বোমাবাহী বিমানে জ্বালানি সরবরাহ করা। এই বিমানগুলো স্পেন, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মার্কিন ঘাঁটির উদ্দেশে উড়ে গেছে।
সাধারণ সময়ে এ ধরনের বিমান স্থানান্তর মনোযোগ আকর্ষণ না করলেও- ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সমঝোতার ডেডলাইন অতিক্রমের পরদিনই ইসরায়েল ইরানে বিমান হামলা শুরু করে।
এদিকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের চতুর্থ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইএসএস নিমিৎজ দক্ষিণ চীন সাগর থেকে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ও সমরাস্ত্রে সজ্জিত রণতরীগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউট (রুসি)-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাস্টিন ব্রঙ্ক বিবিসিকে বলেন, “ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে, আগামী সপ্তাহগুলোতে এটি আরো তীব্র হবে। সংঘাত ঘনীভূত হলে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় এতে জড়িয়ে পড়তে পারে। তিন দিনে ৩০টি ট্যাংকার বিমানের ইউরোপে স্থানান্তর যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।”