দখলদার ইসরাইল সিরিয়ার হোমস শহর ও উপকূলীয় লাতাকিয়ার আশপাশে একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে চালানো এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে হামলাকে সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ইসরাইলি হামলাকে সিরিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
তবে হোমস ও লাতাকিয়ায় হামলার বিস্তারিত পরিমাণ বা সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে সানা কোনো তথ্য দেয়নি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, হোমসে একটি সিরীয় বিমানঘাঁটিতে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়। স্থানীয়রা ওই এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সংস্থাটি আরও জানায়, লাতাকিয়ায় একটি সামরিক ব্যারাক লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনেছেন, তবে এখানেও হতাহতের খবর মেলেনি।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বিনা উস্কানিতে ইসরাইলের হামলা দেশটির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের অংশ। সরকার জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্নের যেকোনো প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরাইলি হামলা বন্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ইসরাইল সিরিয়ায় প্রায় ১০০টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি আকাশপথ থেকে এবং ১১টি স্থলপথে হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ১৩৫টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এবং ৬১ জন নিহত হয়েছেন।