উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদর্শন করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দেশের পারমাণবিক ঢাল ও তলোয়ারকে আরো শক্তিশালী ও শানিত করা হবে। এই তথ্য শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ প্রকাশ করেছে।
এর আগে শুক্রবার কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করাই দেশের জন্য “মৌলিক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের” বিষয়।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন বলেন, “আমাদের অবশ্যই পারমাণবিক ঢাল ও তলোয়ার ক্রমবর্ধমান হারে শানিত ও নবায়ণ করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, স্বার্থ এবং উন্নয়নের অধিকারের স্থায়ী নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা হবে।”
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং উল্লেখ করেছেন, উত্তর কোরিয়া কয়েক দশক ধরে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এর মধ্যে গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কার্যক্রমও রয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
সাম্প্রতিক কালে সিউল জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে প্রায় দুই হাজার কেজি (২ টন) উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এই মন্তব্যের পর কিম জং উন দেশটির শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, মাত্র ১০–১২ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার চারটি স্থানে ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজ কার্যক্রম চলছে এবং সম্ভবত পারমাণবিক উপাদান সংরক্ষণও করা হচ্ছে।
চুং ডং-ইয়ং বলেন, “এখন আর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগে রাজি করানো সম্ভব নয়। তবে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করলে নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টায় অগ্রগতির সুযোগ তৈরি হতে পারে।”