মাদাগাস্কারে বিদ্যুৎ ও পানি সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ২২ জন নিহত, প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা সরকার ভেঙে দিয়েছেন।
সপ্তাহজুড়ে চলা এই বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রাজধানী আন্তানানারিভোর তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা জীবনযাত্রার অবনতির, ঘন ঘন লোডশেডিং ও পানির সংকটের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে, শহরে কারফিউ জারি রয়েছে।
স্থানীয় দোকানপাট ও ব্যাংকে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে, কিছু রাজনীতিবিদের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা টেলিভিশনে ক্ষমা চেয়ে বলেন, সরকারের ব্যর্থতার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং তরুণদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষও রয়েছেন; কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে, কেউ লুটপাট ও সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য ‘গুজব ও ভ্রান্তি’ আখ্যা দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২০২৩ সালের পুনর্নির্বাচনের পর এটি প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ২০২২ সালে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছিল। বিক্ষোভের সংগঠন মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে হয়ে থাকছে, এবং তারা কেনিয়া, নেপাল ও মরক্কোর তরুণ আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত।