যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্বয়ংক্রিয় টেসলা গাড়ির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। প্রায় ২৮ লাখ টেসলা গাড়ি, যা ফুল সেলফ ড্রাইভিং (এফএসডি) প্রযুক্তিতে চালিত হচ্ছে, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই তদন্তের আওতায় এসেছে।
সংস্থার অভিযোগ, এফএসডি চালু থাকা অবস্থায় কিছু টেসলা গাড়ি লাল বাতি অমান্য করেছে, ভুল পথে প্রবেশ করেছে এবং মোড় নেওয়ার সময় বিপরীত লেনে চলে গেছে।
অফিস অব ডিফেক্টস ইনভেস্টিগেশনের (ওডিআই) তথ্য অনুযায়ী, এফএসডি প্রযুক্তিনির্ভর টেসলা গাড়ির বিরুদ্ধে ৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১৪টি বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং ২৩ জন আহত হন। তদন্তকারীরা জানান, অনেক ক্ষেত্রে গাড়িগুলো লাল বাতি থাকা সত্ত্বেও থামেনি, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে থামার পর চলতে শুরু করেছে।
এর আগে টেসলার স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছিল, টেসলার চালকসহায়ক ব্যবস্থা চালকদের মনোযোগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে।
বর্তমানে সংস্থা খতিয়ে দেখছে, টেসলা তাদের এফএসডি ও অটোপাইলট–সংক্রান্ত দুর্ঘটনার প্রতিবেদন সময়মতো দিচ্ছে কি না। এছাড়া টেসলার বৈদ্যুতিক দরজার হাতলও তদন্তের আওতায়, যেটি আটকে গিয়ে যাত্রীদের গাড়িতে আটকা পড়ার অভিযোগের মধ্যে কয়েকটি মৃত্যু ঘটেছে।
নতুন তদন্তের মূল লক্ষ্য হলো লাল বাতি অমান্য ও ভুল পথে গাড়ি চালানোর ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা। এছাড়া রেলক্রসিং–সংক্রান্ত দুর্ঘটনার বিষয়েও আলোচনা করা হবে। বেশ কিছু ঘটনায় এফএসডি সক্রিয় থাকা টেসলা গাড়ি ট্রেন আসার সময়ও রেলক্রসিংয়ে থামেনি।
উল্লেখ্য, টেসলা যুক্তরাষ্ট্রে রোবোট্যাক্সি সেবা চালুর অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে। বর্তমানে সান ফ্রান্সিসকো ও অস্টিনে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকসহ পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা পরিচালিত হচ্ছে। টেসলার মালিক ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক এলাকায় এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।