সৌদি আরবে এবার রেকর্ড সংখ্যক মুসলমান ওমরাহ পালন করেছেন। হিজরি মাস রবিউস সানীতে দেশটিতে মোট ১ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ ওমরাহ সম্পন্ন করেছেন — যা ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ মাসিক সংখ্যা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় ও হারামাইন বিষয়ক সাধারণ কর্তৃপক্ষের যৌথ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই বিপুল সংখ্যার মধ্যে প্রায় ১৫ লাখের বেশি তীর্থযাত্রী এসেছেন বিদেশ থেকে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত এই মানুষরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানে এসে আত্মিক প্রশান্তি খুঁজেছেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি কেবল ধর্মীয় উৎসাহের কারণেই নয়, বরং উন্নত সেবা ব্যবস্থার ফলেও সম্ভব হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল সিস্টেম, সমন্বিত লজিস্টিকস এবং নতুন প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম এখন ওমরাহ পালনকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সহজ, নিরাপদ ও আরামদায়ক করে তুলেছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, “আমরা ওমরাহযাত্রীদের প্রতিটি ধাপে অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগমনের মুহূর্ত থেকে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও দ্রুত ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।”
এই সাফল্যকে সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো— দুই পবিত্র মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশ আরও সহজ করা, আধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামোর মাধ্যমে তীর্থযাত্রাকে সময়োপযোগী করে তোলা, এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য এক গভীর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা।
রবিউস সানীর এই সাফল্য তাই শুধু সংখ্যার নয়, বরং সৌদি আরবের প্রশাসনিক সক্ষমতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মুসলিম বিশ্বের সেবায় তাদের আন্তরিকতার প্রতিফলন বলেই ধরা হচ্ছে।

