গাজায় শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন ঘোষণা এলো, যা অঞ্চলটিতে নতুন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত মাসে সংঘর্ষবিরতির অংশ হিসেবে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “খুব শিগগিরই গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানো হবে।”
তিনি আরো সতর্ক করে বলেন, “যদি হামাস এ নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি করে, তবে অত্যন্ত শক্তিশালী দেশগুলোর একটি জোট হস্তক্ষেপ করবে।”
তবে এখন পর্যন্ত হামাসকে নিরস্ত্র করতে কোনো দেশ সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কৌশলগত ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ইতোমধ্যে গাজায় দুই বছরের জন্য একটি অন্তর্বর্তী সরকার এবং স্থিতিশীল বাহিনী গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সমন্বিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় প্রায় ২০ হাজার আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েন করা হবে। এই বাহিনী তাদের নির্ধারিত ম্যান্ডেট অনুযায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
অন্যদিকে, হামাস এখনো স্পষ্ট করে জানায়নি তারা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র হতে রাজি কি না। তবে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রকেট ও ভারী আক্রমণাত্মক অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি, কিন্তু যতদিন না স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্ব শেষ হচ্ছে, ততদিন তারা রাইফেলের মতো রক্ষণাত্মক অস্ত্র সমর্পণ করবে না।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রবেশ যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে গাজার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা উদ্যোগ। তবে একই সঙ্গে এর সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করবে হামাস, ইসরায়েল এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর।

