থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন সীমান্ত সংঘাত বন্ধ করতে তিনি ফোন করবেন বলে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত জুলাইয়েও এই দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দিনের যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছিলেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ট্রাম্প বলেন, “দুঃখজনকভাবে, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সংঘাত আজই শুরু হয়েছে। আগামীকাল আমাকে ফোন করতে হবে। আর কে বলতে পারবে, আমি শুধু একটি ফোন কলেই দুই শক্তিশালী দেশ- থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামাতে পারব।”
গত জুলাইয়ে ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বাণিজ্য আলোচনার প্রভাব ব্যবহার করে যুদ্ধবিরতি করেছিলেন। ওই সময়ের সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছিল।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সীমান্ত সংঘাতে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না এবং পরিস্থিতি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার জন্য উপযুক্ত নয়।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “আমাদের যে কোনো সময় আলোচনায় বসার প্রস্তুতি রয়েছে।”
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেট জানিয়েছেন, তার দেশকে আলোচনায় বাধ্য করার জন্য শুল্ক হুমকি ব্যবহার করা উচিত নয়। গত মাসে থাইল্যান্ড অক্টোবরে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে নেওয়া শান্তি চুক্তি বাতিল করার পর সীমান্তে সংঘাত আবার বেড়ে গেছে।
থাইল্যান্ডের দাবি, কম্বোডিয়ার নতুনভাবে স্থাপিত মাইনের আঘাতে একজন সেনা আহত হয়েছেন। তবে কম্বোডিয়া এটি অস্বীকার করেছে। উভয় দেশ সীমান্ত এলাকায় শত শত হাজার মানুষকে সরিয়ে দিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে ৯ জন নাগরিক নিহত এবং ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। থাইল্যান্ড জানিয়েছে, ৪ সেনা নিহত এবং ৬৮ জন আহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের সেনারা জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য কম্বোডিয়ার হামলা ঠেকানো। সোমবার একজন শীর্ষ জেনারেল বলেছেন, “সেনার উদ্দেশ্য হলো দীর্ঘ সময়ের জন্য কম্বোডিয়ার সামরিক ক্ষমতা দুর্বল করা।”
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বাধ্য হয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে এবং থাইল্যান্ডকে নাগরিক এলাকার ওপর নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করার অভিযোগ করেছে। তবে থাইল্যান্ড এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

