মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে গোপনে একটি বড় অস্ত্র ক্রয় চুক্তি করেছে। চুক্তিটির আর্থিক মূল্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ইন্টেলিজেন্স অনলাইন প্রথম এই গোপন চুক্তির তথ্য প্রকাশ করে। পরে বুধবার ১৭ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমের সঙ্গে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত মাসে এলবিট সিস্টেম ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় অস্ত্র রপ্তানি চুক্তির কথা জানালেও তখন ক্রেতা দেশের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এলবিট সিস্টেমের উন্নত সংস্করণের ‘জে-মিউজিক এয়ারক্রাফট প্রোটেকশন সিস্টেম’ কিনছে। এটি একটি লেজারভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি। এই ব্যবস্থা বিমান লক্ষ্য করে ছোড়া সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের সেন্সর অকার্যকর করতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনে এই প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতেই উৎপাদন করা হবে। চুক্তিটির মেয়াদ আট বছর। এটিকে ইসরায়েলের ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উচ্চ সংবেদনশীলতার কারণে চুক্তির বেশিরভাগ তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে এই অস্ত্র চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের মতো সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, এমন চুক্তি বেসামরিক মানুষের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে বলে তারা মনে করছে।

