ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে নগদ অর্থ ঋণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ৯০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে তারা। তবে ইউরোপে জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহার করা হবে না। মূলত রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহার করা নিয়ে একমত হতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা। সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। সূত্র: রয়টার্স
ঋণ নেওয়ার ধারণাটি শুরুতে আলোর মুখ দেখবে না বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কারণ এর জন্য সর্বসম্মতি প্রয়োজন ছিল। রাশিয়াপন্থি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানও এ ধরনের ঋণের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তাদের ওপর কোনো আর্থিক প্রভাব পড়বে না, এমন শর্তে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র এই প্রকল্পটিতে অনুমোদন দেয়।
ইইউ নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মস্কো ইউক্রেনকে যুদ্ধসংক্রান্ত কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগ পর্যন্ত রুশ সম্পদ জব্দই থাকবে। প্রসঙ্গত, ইউরোপে ২১০ বিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের রুশ সম্পদ জব্দ রয়েছে। ভবিষ্যতে রাশিয়া ক্ষতিপূরণ দিলে ইউক্রেন সে অর্থ ব্যবহার করে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মারজ বলেন, ‘এটি ইউক্রেনের জন্য ভালো খবর এবং রাশিয়ার জন্য খারাপ খবর। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল।’ কিয়েভের জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ইইউর আর্থিক সহায়তা না পেলে ইউক্রেন আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই অর্থসংকটে পড়বে এবং সম্ভবত রাশিয়ার কাছে যুদ্ধে হেরে যাবে। ইইউ আশঙ্কা করছে, এতে রাশিয়ার আগ্রাসনের হুমকি তাদের দুয়ারের আরও কাছে চলে আসবে।
কয়েক ঘণ্টার আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তে আসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। পরে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডে ভেভার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ ঋণ নিয়ে এত প্রশ্ন ছিল যে, আমাদের দ্বিতীয় পরিকল্পনায় যেতে হয়েছে। যুক্তিবোধই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে।’

