Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Jul 17, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » চীনের যে ফাইটার জেট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের
    মতামত

    চীনের যে ফাইটার জেট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের

    এফ. আর. ইমরানJuly 5, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    ছবি: সংগৃহীত
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    চীনে একটি পুরোনো প্রবাদ আছে: ‘যে উচ্চতা দখল করে, সেই জয়ী হয়।’ আধুনিক যুদ্ধকৌশলে এই কথারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। চীনের দৃষ্টিতে, আধুনিক যুদ্ধের মূল শক্তি হলো আকাশ আধিপত্য। আর তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে তাদের নতুন স্টেলথ যুদ্ধবিমান জে-২০। এটিকে তারা বলছে ‘মাইটি ড্রাগন’।

    সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল সিসিটিভিতে দেখানো হয়েছে, জে-২০ পূর্ব চীন সাগরের আকাশে চীনের এয়ার ডিফেন্স জোন বা আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলের কাছাকাছি আসা বিদেশি বিমান (সম্ভবত এফ-৩৫) প্রতিহত করেছে।

    এই ঘটনাটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু চীনের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম উইবো ও বাইদুতে খবরটি ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সেখানে “জে-২০ পাইলট বলেছেন, আমরা পিছু হটতে পারি না” এই হ্যাশট্যাগে কয়েক কোটি বার ভিউ হতে দেখা গেছে।

    চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বিষয়টিকে জে-২০-এর উন্নত প্রযুক্তি, দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং পাইলটদের সাহসিকতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরেছে। এক পাইলট বলেন, ‘এটা যেন আকাশে বেয়নেট দিয়ে যুদ্ধ।’

    জে-২০ কেবল একটি যুদ্ধবিমান নয়- এটি চীনের প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার প্রতীক। এখন এই বিমানে রাশিয়ান ইঞ্জিনের বদলে দেশীয় ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে। চীন বলছে, তারা জে-২০ এত বেশি তৈরি করছে যে তা হয়তো একসময় যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫-এর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

    চীন বলছে, তারা এখন আর প্রতিরক্ষামূলক নয়- বরং আগ্রাসী শক্তি প্রতিহত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।

    জে-২০-এর শক্তির সঙ্গে পূর্ব চীন সাগরে চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকেও জড়িয়ে দেখা হচ্ছে। চীন মনে করছে, এতে তারা ‘উচ্চভূমি’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে।

    অনেকেই বলছেন, জে-২০ এখন চীনের গর্ব; তাদের বিমান শিল্পের অন্যতম সাফল্য। যুদ্ধবিমানটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে আছে উন্নত ইঞ্জিন, আধুনিক সেন্সর, স্মার্ট ককপিট এবং উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ পাইলট। চীনের অনলাইন ব্যবহারকারীরা বলছেন, ‘আমরা এখন ভবিষ্যতের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’

    জে-২০ কেবল একটি যুদ্ধবিমান নয়- এটি চীনের প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার প্রতীক। এখন এই বিমানে রাশিয়ান ইঞ্জিনের বদলে দেশীয় ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে। চীন বলছে, তারা জে-২০ এত বেশি তৈরি করছে যে তা হয়তো একসময় যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫-এর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

    চীন এমনকি দুই আসনবিশিষ্ট জে-২০-এরও পরীক্ষা করছে, যাতে ভবিষ্যতে মানুষ ও ড্রোন একসঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে।

    জে-২০-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শত্রু বিমান থেকে ৮০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব পর্যন্ত রাডারে ধরা না পড়ে উড়তে পারে। এটি খুব দ্রুত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে পারে- মাত্র ৮ মিনিটে। এছাড়া ‘সাপের মতো থেকে বেঁকে উড়ান দেওয়া’, বোমার দরজা খোলা রেখে শত্রুকে মানসিকভাবে চাপে ফেলার মতো কৌশল এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান জে-১৬ডি -এর সহায়তা- সব মিলে এটি চীনের আকাশে আধিপত্যের বড় হাতিয়ার।

    চীনের মিডিয়া তরুণ পাইলটদেরও তুলে ধরছে। সেখানে পাইলটদের গড় বয়স মাত্র ২৮ বছর। তারা প্রযুক্তিতে দক্ষ, আদর্শে দৃঢ় এবং জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।

    বিশ্লেষক ওয়াং শিয়াংশুই বলছেন, চীন এখন সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নয়, বরং কৌশলে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ আধিপত্য’ গড়তে চায়। অর্থাৎ, কম খরচে বেশি লাভ- স্টেলথ, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ আর কৌশলী নড়াচড়া দিয়েই প্রতিপক্ষকে ঠেকানো।

    এই কৌশলে আরেকটি বড় অংশ হলো চীনের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোন- বিশেষ করে উঝেন-৭ এবং উঝেন-৮। তারা ২০ থেকে ৫০ হাজার মিটার উচ্চতায় ম্যাচ ৭ গতি নিয়ে উড়তে পারে- যা জাপানের যুদ্ধবিমানগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

    উঝেন-৮ ড্রোনকে বলা হচ্ছে ‘আংশিক ষষ্ঠ প্রজন্মের’ যুদ্ধপ্ল্যাটফর্ম, যার স্টেলথ প্রযুক্তি ও এআই সিস্টেম দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে চীনের বার্তাটা একেবারে পরিষ্কার: তারা সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত এবং সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে শক্ত অবস্থান থেকে।

    জে-২০ ও তাদের আকাশযানগুলো শুধু অস্ত্র নয়- এগুলো চীনের ‘জাতীয় পুনরুত্থান’ ও ‘প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব’-এর গল্পের অংশ।

    আসলে জে-২০ এখন শুধু যুদ্ধবিমান নয়- এটি একটি বার্তা। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, তাইওয়ান- সবাইকে উদ্দেশ করে চীন জানিয়ে দিচ্ছে, এই আকাশ তাদের এবং তারা সেই আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবেই।

    • সানা হাশমি তাইওয়ান-এশিয়া এক্সচেঞ্জ ফাউন্ডেশনের ফেলো সূত্র: দ্য প্রিন্ট

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    আন্তর্জাতিক

    ইরাকের শপিংমলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫০

    July 17, 2025
    আন্তর্জাতিক

    বাংলা ইস্যুতে বিজেপির সমালোচনায় মমতা

    July 17, 2025
    আন্তর্জাতিক

    সৌদি আরবে মুদি দোকানে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ

    July 17, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.