গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বড় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদে মনোনয়ন দেওয়া হতো। এর ফলে নির্বাচন হতো না। শুধু পরিচালক পদে মাঝে মাঝে নির্বাচন হতো। ফলশ্রুতিতে বাণিজ্য সংগঠনগুলো ব্যবসায়ীদের প্রকৃত স্বার্থে কাজ করতে পারেনি। কারণ প্রধান ব্যক্তি সরকারের মনোনীত হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। যদিও আইন অনুযায়ী মন্ত্রণালয় এটি করতে পারে, তবু কিছু অসুবিধা দেখা দেয়। মূল সমস্যা হলো, বাণিজ্য সংগঠনের নতুন বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলাপ–আলোচনা না করে। এই বিধি কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের যোগাযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে খুবই কমে গেছে। এটি অর্থনীতির গতি হ্রাস করেছে। বিশেষত বাণিজ্য সংগঠনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব না থাকার কারণেই যোগাযোগের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
যদি বাণিজ্য সংগঠন কার্যকর হতো এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা নেতৃত্বে আসতো, তাহলে সরকারের জন্য তা সহায়ক হতো। বিধিমালা সংশোধনের কাজ অতিরিক্ত সময় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেই একদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারে। এটি হলে বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাচন সহজতর হবে এবং ব্যবসায়িক নেতৃত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।

