গত সপ্তাহে এপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ারদর ২২.৬৫ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৫৯ টাকা ৬০ পয়সা। এই পতনের কারণে কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে এপেক্স ফুটওয়্যার বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৬২ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ১১ টাকা ২২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩৬ টাকা ৬৮ পয়সা। গত হিসাব বছর ২০২৩-২৪ সালে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ওই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ টাকা ৩৪ পয়সা এবং এনএভিপিএস ৪৭৪ টাকা ৩৭ পয়সা।
২০২২-২৩ সালে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। ইপিএস হয়েছিল ১২ টাকা ৮৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ১০ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ সালে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৩৯ টাকা ৬৪ পয়সা। ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক। ইপিএস হয় ১১ টাকা ৭০ পয়সা, আগের বছরে ছিল ৮ টাকা ৯২ পয়সা। এনএভিপিএস ৩০ জুন ২০২২ সালে দাঁড়ায় ২৫২ টাকা ৯৫ পয়সা।
ঋণমানের দিক থেকে এপেক্স ফুটওয়্যার দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’ রেটিং পেয়েছে। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল) এটি প্রত্যয়ন করেছে।
১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ফুটওয়্যারের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৩০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩১.০৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪২.৭২ শতাংশ শেয়ার।

