সপ্তাহের প্রথম দিন গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। দেশের আরেকটি বড় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেনে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানত ব্যাংক খাতের শেয়ারের পতন এ দরপতনে প্রভাব রেখেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লেনদেন শুরুতে প্রথম ১০ মিনিট সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচক হ্রাস পেতে শুরু করে। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৫ হাজার ১৫০ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে এসেছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৯৯৮। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে শীর্ষ ১০ শেয়ারের মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক খাতের শেয়ার। এ শেয়ারের দরপতনে পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট। শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, পূবালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও কোহিনূর কেমিক্যালস।
ডিএসইতে গতকাল ৪৬১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬৬৮ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ৩৯৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে ১৪২টির দর বেড়েছে, ১৯৮টির কমেছে এবং ৫৯টির অপরিবর্তিত রয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনে দেখা যায়, মোট লেনদেনে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ দখল নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক খাত। ১২ শতাংশ দখল নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে সাধারণ বীমা খাত। ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখল ৯ দশমিক ২ শতাংশ। প্রকৌশল খাত ৮ দশমিক ৬ এবং বস্ত্র খাত ৭ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকায় উপরের দিকে।
ডিএসইতে অধিকাংশ খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। সিমেন্ট খাতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১ দশমিক ৫, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে সাধারণ বীমা খাতে ২ দশমিক ৮ এবং পাট খাতে ১ দশমিক ৯ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স ১৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৮৬৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই ২৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া ১৮৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭৫টির দর বেড়েছে, ৯২টির কমেছে এবং ২১টির অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ১১ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ছিল।

