সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে সূচকে শক্তিশালী উত্থান দেখা গেছে। প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচক আরও দশমিক ৯০ শতাংশ বাড়ে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক উর্ধ্বমুখী ছিল। দিন শেষে ডিএসইএক্স ৪২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসে সূচক ছিল ৪ হাজার ৭৩২ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৭০ পয়েন্ট, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৮৬১ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়ে হয়েছে ১ হাজার পয়েন্ট, আগের দিন যা ছিল ৯৮৫ পয়েন্ট।
সূচকের এ উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, জিপিএইচ ইস্পাত ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ। আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২৯৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৭৩ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে ৩২২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির।
খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত, মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ এ খাতে হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে প্রকৌশল খাত ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, তৃতীয় স্থানে ব্যাংক খাত ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। বস্ত্র খাত ৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ এবং জ্বালানি–বিদ্যুৎ খাত ৯ শতাংশ নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিল।
একটি খাত বাদে ডিএসইতে সব খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ১ শতাংশ রিটার্ন ছিল। মিউচুয়াল ফান্ডে ৩ দশমিক ৭, জীবন বীমায় ৩ এবং ভ্রমণ–অবকাশ খাতে ২ দশমিক ৬ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে। সিমেন্ট খাতে দশমিক ৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন হয়েছে।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকেও উত্থান ছিল। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক সিএসসিএক্স ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৯ পয়েন্ট। সিএসইতে গতকাল ১৫৬ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০০টির দর বেড়েছে, ৪৫টির কমেছে এবং ১১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

