সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সব মূল্যসূচক নিচে নেমেছে। টানা চার কার্যদিবসের উত্থানে প্রায় ২০০ পয়েন্ট বাড়ার পর আজ প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমেছে। তবে সার্বিক লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগ সিকিউরিটিজের দর বাড়লেও সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। সেখানে লেনদেনে দেখা গেছে পতন। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দর বেড়েছে। কমেছে ২৩৮টির। অর্থাৎ দরপতন হয়েছে দরবৃদ্ধির তুলনায় ২ দশমিক ২৯ গুণ বেশি। লেনদেন শেষে ২৯টি সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত ছিল। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৫১টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫৭টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩০টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
দরপতনের চাপ বাড়ায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে। গতকাল সূচকটির অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৯০১ পয়েন্ট। শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানির সূচক ডিএসইএস ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮ পয়েন্টে এসেছে। ভালো ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই–৩০ আজ ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে নেমেছে।
ডিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৪২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আজ লেনদেনে সর্বাধিক অবদান রেখেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। গতকাল তালিকার শীর্ষে ছিল শাহজিবাজার পাওয়ার, যার লেনদেন ছিল ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে উঠেছে। তবে সিএসসিএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ১৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি। আজ সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার।

