দেশের পুঁজিবাজার সাম্প্রতিক পতনের ধাক্কা সামলে আস্তে আস্তে ফিরে আসছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। এদিন বেশির ভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০৯.১০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। একই সঙ্গে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৪.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ১,০৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪২.৯১ পয়েন্ট বেড়ে ১,৯২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ইতিবাচক চিত্র দেখা দিয়েছে। ডিএসইতে সোমবার মোট ৩৯১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৯টির দর বেড়েছে, ২২টির কমেছে এবং ১০টির অপরিবর্তিত ছিল।
ক্যাটেগরি ভিত্তিক লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটেগরির ২১৫টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে ১৯৭টির দর বেড়েছে, ১৩টির কমেছে এবং ৫টির অপরিবর্তিত ছিল। ‘বি’ ক্যাটেগরিতে ৭৯টির মধ্যে ৭৫টির দর বেড়েছে, চারটির কমেছে। ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে ৯৭টির মধ্যে ৮৭টির দর বেড়েছে, পাঁচটির কমেছে এবং পাঁচটির অপরিবর্তিত ছিল।
মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব দেখা দিয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ৩৩টির দর বেড়েছে, দুইটির দর কমেছে। দিনশেষে ডিএসইতে মোট ২৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ৫০৫টি শেয়ার ও ইউনিট ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭৪ বার হাতবদল হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়।
লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি (টাকায়) হলো: সিম টেক্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রানার অটো, আফতাব অটোমোবাইলস, মনোস্পুল পেপার, শাহজিবাজার পাওয়ার, খান ব্রাদার্স পিপি এবং তৌফিক ফুড। দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি: আইএফআইসি ব্যাংক, সিম টেক্স, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ইনটেক লিমিটেড, এআইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, খান ব্রাদার্স পিপি, এনআরবি ব্যাংক ও মনোস্পুল পেপার।
দর কমার শীর্ষ ১০ কোম্পানি: বিডি ওয়েল্ডিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, জুট স্পিনার্স, রহিম টেক্সটাইল, ভিএএমএল বিডি মিউচুয়াল ফান্ড-১, আজিজ পাইপস, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, আল-বারাকা ইসলামী ব্যাংক ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক নীতিগত সিদ্ধান্ত, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং বাজারে তারল্যপ্রবাহের বৃদ্ধি সূচকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার মূল্য উত্থান সূচক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

