পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি—ওষুধ খাতের সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং বস্ত্র খাতের সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেড—নিরীক্ষক তাদের অস্তিত্ব ও টেকসইতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কোম্পানি দুটির ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিস্থিতি:
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করেছেন আশরাফ উদ্দিন অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার মোহাম্মদ শিব্বির হোসেন। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান প্রায় সমান পরিমাণে পরিশোধিত মূলধনের এবং ব্যবস্থাপনা নতুন তহবিল জোগাতে ব্যর্থ হয়েছে।
কোম্পানি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পক্ষ থেকেও উল্লেখযোগ্য কর দাবি রয়েছে। উচ্চ ব্যয় ও সীমিত উৎপাদনের কারণে উৎপাদন খরচ আয়কে ছাড়িয়েছে। এছাড়া কোম্পানি ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করেনি এবং ডিএসই ও সিডিবিএলের ফি পরিশোধ করতে পারেনি। সবমিলিয়ে, ভবিষ্যতে টিকে থাকার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
২০২৪-২৫ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা হয়নি। শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা, যেখানে আগের বছর ৩৫ পয়সা লোকসান হয়েছিল। ৩০ জুন কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮৭ পয়সায়। ডিএসইতে শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ওঠানামা করেছে ৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে।
সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের পরিস্থিতি:
জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার এ কে গোলাম কিবরিয়ার মতে, কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান ১৫ কোটি ৮৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৩ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের ঋণাত্মক রিটার্ন দিয়েছে। নিরীক্ষক ভবিষ্যতে কোম্পানির টিকে থাকার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
২০২৪-২৫ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেওয়া হয়নি। শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮০ পয়সা, যেখানে আগের বছর শেয়ারপ্রতি ২৭ পয়সা আয় হয়েছিল। ৩০ জুন কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৫ পয়সায়। ডিএসইতে শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ২০ পয়সায়। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ওঠানামা করেছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫২ টাকার মধ্যে।

