টিকটকে ভিডিও আপলোড মানেই ভাইরাল হওয়া নয়—বরং অনেক কনটেন্টই হারিয়ে যাচ্ছে অ্যালগরিদমের ঝড়ে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে বাংলাদেশ থেকেই ১ কোটি ৬২ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এসব ভিডিওর সবই কমিউনিটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে মুছে ফেলা হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—বাংলাদেশে সরানো ভিডিওর ৯৯.৭ শতাংশই স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে মুছে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে ৯৭.৫ শতাংশ ভিডিও সরানো হয় আপলোডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।
টিকটকের সর্বশেষ Community Guidelines Enforcement Report অনুসারে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) বিশ্বজুড়ে ১৮ কোটি ৯৫ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া মোট ভিডিওর প্রায় ০.৭ শতাংশ।
এর মধ্যে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ ভিডিও টিকটক স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে সরিয়েছে, আর ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ভিডিও পর্যালোচনার পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ৭ কোটি ৭০ লাখ ভুয়া অ্যাকাউন্ট এবং ১৩ বছরের কম বয়সী ২ কোটি ৬০ লাখ শিশুর অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ—৩০.৬ শতাংশ—নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে, ১৪ শতাংশ ভিডিও নিরাপত্তা নীতি, এবং ৬.১ শতাংশ ভিডিও গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নীতির কারণে সরানো হয়। এছাড়াও, মিথ্যা তথ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্ভর ভুয়া ভিডিও এবং ভুলভাবে সম্পাদিত কনটেন্টও টিকটকের নজরে রয়েছে।
প্রতি প্রান্তিকেই টিকটক এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবস্থাপনা, কনটেন্ট পর্যালোচনা ও স্বচ্ছতা সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের ধারণা দেওয়া হয়।

