একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু বিশ্বের প্রধান ক্ষমতাধর দেশগুলো এই নীতি সমানভাবে প্রয়োগ করে না। উদাহরণ হিসেবে, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নানা নিষেধাজ্ঞার জালে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। এসব নিষেধাজ্ঞা মানবিক মূল্যবোধের ‘ধ্বজাধারী’ দেশগুলোর পক্ষ থেকে আনা হয়। তারা বিশ্বকে দেখাতে চায় যে, কোনো রাষ্ট্র যদি অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ভিন্ন। ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় অংশগ্রহণ করে। চরম ধ্বংসাত্মক বোমা ব্যবহার করে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায় এবং তার মিত্র দেশগুলো নৈতিক সমর্থন প্রদান করে। অথচ এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিকতার দিক থেকে কোনো কার্যকর সমালোচনা বা প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়নি।
শুধু ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্যের ছোট অথচ খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র কাতারের ওপরও ইসরায়েল হামলা চালায়। কাতার হামলার সময় নিরপেক্ষ এবং শান্তিপ্রিয় অবস্থান রাখলেও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেশী দেশ বা শক্তিধর মিত্রের পক্ষ থেকে কোনো সমর্থন বা সাহায্য আসে না।
কাতারের আন্তর্জাতিক কূটনীতিক ও ক্রীড়া কৌশলও এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটি বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের মাধ্যমে নিজেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘নিরপেক্ষ’ এবং ‘মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতার শুধু খেলার মাধ্যমে নয়, কূটনৈতিকভাবে নিজেকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে নিজেকে ‘মধ্যস্থতাকারী’ এবং ‘শান্তিদূত’ হিসেবে উপস্থাপন করায় কাতারের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিও অনেকাংশে উন্নত হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই শান্তিদূত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও হামলার শিকার হয় কাতার। দেশটি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজ ভূমিতে বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়। এতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয় কিন্তু বিপদের মুহূর্তে কেউ পাশে আসে না। এমনকি আরব দেশগুলোও কাতারকে সাহায্য করতে দেখা যায়নি।
ইসরায়েলি হামলার পর দোহা শহরে পরিস্থিতি ভয়াবহ। হামলার সময় কাতারে যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশের ঘাঁটিও ছিল। কিন্তু কেউ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এটি প্রমাণ করে যে, কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহমর্মিতা সীমিত।
পটভূমিতে ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সৌদি-প্রভাবিত দেশগুলোও একই সঙ্গে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কাতারের আকাশ ও জলসীমা অবরুদ্ধ করা হয়। সেসময় পশ্চিমা মিত্রদের কেউও কাতারের পাশে দাঁড়ায়নি। যদিও ২০২১ সালে আরব দেশগুলো কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছিল, ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের ইসরায়েলি হামলার সময় দেখা গেল, এই নিরাপত্তার পুনঃস্থাপনও কার্যকর হয়নি।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের অবস্থান অনেকটা দ্বিধাবিভক্ত। দেশটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিক ও ক্রীড়া কৌশলের মাধ্যমে ‘মধ্যস্থতাকারী’ এবং শান্তিদূত হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চায়। একই সঙ্গে, নিজ ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে নিজেকে নিরাপদ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হামলার সময় আন্তর্জাতিক মিত্ররা পাশে না আসার কারণে কাতারের নিজস্ব নিরাপত্তা ও প্রভাবের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম বিশ্বের নেতা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবে কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নির্ভরশীল এবং সেই সহযোগিতা সব সময় কার্যকর হয় না। কাতারের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তবতা এবং সামরিক-রাজনৈতিক জটিলতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সিএনএন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেনশিয়াল জেট এবং বিশাল বিমানঘাঁটি ইসরায়েলের হামলা থেকে কাতারকে রক্ষা করতে পারেনি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা বিষয়টি সতর্ক নজরে রাখছে।
কাতারের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে সব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কাতারের বার্তা বা প্রতিক্রিয়া খুব শক্তিশালী বা কার্যকর হয়নি। এটি অনেককে প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের অবস্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই স্বাগত ইঙ্গিত দেয় যে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবু হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কাতারের রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব কিছুটা সীমিত মনে হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলা কেবল কাতারের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রশ্ন তুলেছে—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা কাতারের জন্য আসলে কতটা কার্যকর।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাতারে ইসরায়েলি হামলা যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষত, যদি কাতার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতা বন্ধ করে দেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো দেশ সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। এটি কাতারের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে পুনঃপ্রশ্ন তোলে।
দীর্ঘদিন ধরে কাতার ও মিশর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে। অন্যদিকে ওমান ইরান-যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্র-হুতির মধ্যে মধ্যস্থতায় সহায়তা করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত রাশিয়া ও ইউক্রেনের বন্দি বিনিময়ে সহযোগিতা করেছে। সৌদি আরব নিজেকে শান্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
এই সব দেশের নেতারা এখন কাতারের ওপর নজর রাখছেন। তারা দেখছেন, ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে। হামলার পাঁচ দিন পার হলেও তেমন জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে—কাতার যত বড় দাবি করুক, বাস্তবে এটি কি বিশ্বমঞ্চে তেমন গুরুত্বপূর্ণ? কাতারের প্রভাব এবং মধ্যপ্রাচ্যে তার কৌশলগত ভূমিকার সীমাবদ্ধতা এখন স্পষ্ট।
এছাড়া, প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, উপসাগরীয় দেশগুলোর কৌশলগত স্বার্থ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর কাতারের অবস্থান প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই দেশগুলো দেখছে, কাতারের ভূমিকায় আস্থা কতটা স্থায়ী। মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কাতারের প্রতিক্রিয়া এবং সক্ষমতা যাচাই হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, ইসরায়েলি হামলা এবং কাতারের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড় দাবী এবং বাস্তব প্রভাবের মধ্যে অনেক সময় বড় ফারাক থাকে। কাতারের চেষ্টা সত্ত্বেও হামলার প্রতিক্রিয়া সীমিত এবং বিশ্বমঞ্চে তার গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে সীমিত।
শুধু কাতার নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নিরাপত্তা বলয়ের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার পরপরই কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানি আশা প্রকাশ করেছেন যে, হামলার জন্য সম্মিলিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি সিএনএনকে বলেন, “পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল ঝুঁকিতে আছে। যদি এখন ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে আরও দেশ এই হামলার শিকার হতে পারে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা কতটা শক্তিশালী, তা পরীক্ষা হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকায়। গত মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় সৌদি আরব, কাতার ও আরব আমিরাতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ট্রিলিয়ন ডলারের চুক্তি আলোচনার বিষয় ছিল। যদিও চুক্তি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তবে সাম্প্রতিক হামলা ও উত্তেজনা মার্কিন নিরাপত্তা বলয়ের ওপর প্রশ্ন তুলেছে।
ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের জানাজায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত হয়ে, এই ঘটনার গুরুত্ব এবং কাতারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বদর আল-সাইফ সিএনএনকে বলেন, “আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে অন্য উপসাগরীয় দেশও আক্রান্ত হতে পারে।”
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “উপসাগরীয় দেশগুলো কাতারে হামলার জবাব দিতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, কিন্তু তাদের হাতে সুযোগ সীমিত।” এর মাধ্যমে বোঝা যায়, হামলার পরে কাতার ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে রাজনৈতিক ও সামরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এক ধরনের প্রতিক্রিয়ার চেষ্টা চলছে।
প্রতিবেদনটি আরও তুলে ধরে, হামলার আগে থেকেই আরব আমিরাত তেল আবিবের প্রতি বিরক্ত ছিল। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মনে করেন, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করা হলে তা হবে “আব্রাহাম চুক্তির মূল লক্ষ্যের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।”
‘আব্রাহাম চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার পর চুক্তির কার্যকারিতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব পরীক্ষা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, বিশেষ করে কাতার, হামলার জবাব দিতে সক্ষম হতে পারে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দেশগুলোকে সতর্কভাবে পরিকল্পনা করতে হবে, কারণ সামরিক ও কূটনৈতিক জটিলতা রয়েছে।
ইরান প্রসঙ্গও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৩ জুন, ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর সময় অনেক উপসাগরীয় দেশ তাদের আকাশ উপরে তেল আবিবের জন্য খুলে দিয়েছিল। তারা তখন ভাবতে পারেনি যে ভবিষ্যতে তাদের নিজেও ইসরায়েলি হামলার শিকার হতে পারে। একবার যখন ইসরায়েল কোনো দেশে হামলা চালায়, সেই দেশকে রক্ষা করতে ঘনিষ্ঠ দেশগুলো প্রায়ই এগিয়ে আসে না। লেবানন, সিরিয়া, ইরান এবং কাতারে হামলার পর এ রূপ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঘনিষ্ঠরাও দূরে থাকে, যা স্থানীয় দেশগুলোকে আরও ঝুঁকিতে ফেলে।
এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা কেবল কাতারেই নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলে হ্রাস পাচ্ছে। মার্কিন নীতি ও নেতৃত্বের ওপর এখন নতুন চাপ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, ইসরায়েলি হামলা এবং অঞ্চলের প্রতিক্রিয়া একটি জটিল কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা চিত্র সামনে নিয়ে এসেছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ভবিষ্যতে সংঘটিত ঘটনার প্রভাব বিবেচনা করছেন।
কাতার ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে, অঞ্চলটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করার প্রশ্ন এখন সবদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।