দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দিন শেষে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে এ সময়ের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে তা ছিল ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দুই সপ্তাহে রিজার্ভে সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে রিজার্ভের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের আগস্টে রেকর্ড হয়। তবে এরপর থেকেই রিজার্ভে ধীরে ধীরে চাপ দেখা দেয়।
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার অনিয়ন্ত্রিত বহিঃপ্রবাহ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মহলের অর্থপাচারের অভিযোগে রিজার্ভের ওপর বড় প্রভাব পড়ে।
পাশাপাশি বড় বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমতে শুরু করলে আমদানি খরচ ও জ্বালানির মূল্যও বাড়ে।
সংকট সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর ফলে ধীরে ধীরে রিজার্ভে বড় ধরনের পতন ঘটে এবং তা তলানিতে নেমে আসে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির প্রভাবে রিজার্ভে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

