পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগ মুক্ত বাজারের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর নির্দিষ্ট বাজারগুলোকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি জানান, পরিবেশের সুরক্ষায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন এবং মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প যেমন পাট ও চটের ব্যাগ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পলিথিন আমাদের পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ জরুরি। সরকার এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং আমরা আশা করি ব্যবসায়ীরাও এ উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজে সহায়তা করবে এবং তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিবসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা। সভায় অতিরিক্ত সচিব এবং মহাপরিচালক তাদের বক্তব্যে পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারাও সরকারের পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নানা পরামর্শ দেন। তারা একমত পোষণ করেন যে, পরিবেশের জন্য পলিথিনের বিকল্প হিসেবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পাট ও চটের ব্যাগ ব্যবহার একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে ব্যবসায়ী নেতারা জানান, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে ভোক্তাদের অভ্যাস পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ায় সরকার এবং ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও ভূমিকা রাখা জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারের এই উদ্যোগকে সফল করতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য বলে মত দেন বক্তারা।