২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে দেশের নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হওয়া এ পরীক্ষা পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) তত্ত্বাবধানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১১টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ৭৫ হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৫১ হাজার ৮১১ জন। অংশগ্রহণ হার ছিল ৬৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। কৃষি গুচ্ছে ভর্তির এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণই তাদের উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে আগ্রহের প্রমাণ বহন করে।
কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবার মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৭১৮টি। ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে ৯ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, যাতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮টি এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮টি আসন রয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত আসন ৮০টি।
এ বছর কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনেই নয় বরং দেশের কৃষি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় তাদের আগ্রহের প্রতিফলন। এই ভর্তি প্রক্রিয়া দেশের কৃষিশিক্ষা উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ কৃষি বিশেষজ্ঞ তৈরিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।