গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত ও টেকসই পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে একটি টেকসই পর্যটনের মডেল ও পরিবেশ সংরক্ষণের আদর্শ স্থানে রূপান্তর করতে পারি। এই প্রচেষ্টা সফল করতে সকল ক্ষেত্রের সহযোগিতা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।”
এই মন্তব্যটি তিনি আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত “সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সম্ভাবনা: একটি প্লাস্টিকমুক্ত স্বর্গের সূচনা” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রদান করেন। এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল দ্বীপটিকে একটি টেকসই, প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা এবং এই উদ্যোগে অংশীদারদের গুরুত্ব তুলে ধরা।
ওয়েবিনারটিতে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ, আইইউসিএন এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট প্রধান রাকিবুল আমিন, আইইউসিএন সদর দপ্তরের প্লাস্টিক প্রোগ্রাম অফিসার লিন সোরেনটিনো এবং জিআইজেড বায়োডাইভার্সিটি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের সেক্টর-কোঅর্ডিনেটর স্টেফান আলফ্রেড গ্রোনেওল্ড। তাঁরা সবাই সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এবং টেকসই কর্মকৌশল নিয়ে তাঁদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
ওয়েবিনারটিতে বিশেষজ্ঞরা সেন্ট মার্টিনের অনন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রায় ৯০ জন অংশগ্রহণকারী এই আলোচনায় যুক্ত হয়ে দ্বীপটির একটি পরিষ্কার ও সবুজ ভবিষ্যতের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আইইউসিএন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সেন্ট মার্টিন দ্বীপের টেকসই, প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যা ইতিবাচক পরিবেশগত পরিবর্তনের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।