এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর সকাল ১১টায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং সমমানের ফলাফল একযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এবছর পরীক্ষায় গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় সামান্য কম। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
চলতি বছরের পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ২০২৩ সালে জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। প্রথমে প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা চলার কথা ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, কিন্তু কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার, যার ফলে পরীক্ষার সময়সূচি কিছুটা পিছিয়ে যায়।
এবারের ফলাফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে তাদের কৃতিত্বে খুশি হলেও, কিছু শিক্ষার্থী প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কারণে হতাশ। বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী সন্তুষ্ট নয় তারা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষাবিদরা এ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করে বলছেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যের হার কমার পেছনে কিছুটা প্রতিকূল পরিস্থিতি কাজ করেছে। আন্দোলন ও পরীক্ষা স্থগিতের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকেই। শিক্ষামন্ত্রীও এ ফলাফল নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “যদিও পাশের হার সামান্য কমেছে, তবুও শিক্ষার্থীদের মেধা ও শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে।”
ফলাফলের এই চিত্র দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে। পরীক্ষার পদ্ধতিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে কিনা তা নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকরা ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।