কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আইনজীবী আবদুল খালেক চৌধুরীর ওপর এক মারাত্মক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার ২১ অক্টোবর, কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে।
আবদুল খালেক চৌধুরী অভিযোগ করেন যে, তিনি জেলা জজ আদালতে পেশাগত কাজ শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মহেশখালীর মৌলভীকাটা এলাকার বাসিন্দা ও সহকর্মী আইনজীবী নুরুল ইসলাম তাঁর গতি রোধ করেন এবং কোনো রকম পূর্বাভাস ছাড়াই মারধর শুরু করেন। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত হয়, যাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি নুরুল হক, সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম ছিলেন। হামলাকারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি দিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করেন, যার ফলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। উপস্থিত অন্যান্য আইনজীবীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আবদুল খালেক চৌধুরীর দাবি, এই হামলার মূল কারণ তাঁর ও নুরুল ইসলামের মধ্যে পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতা, যা ইউপি নির্বাচনকেন্দ্রিক। নুরুল ইসলাম ও তাঁর সমর্থকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এই উত্তেজনা চলছিল, যা এ ধরনের হামলার মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ নেয়। হামলার পরপরই তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে, আইনজীবী নুরুল ইসলাম এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আবদুল খালেকের ওপর হামলার বিষয়টি শুনেছি তবে তখন আমি নিজ চেম্বারে উপস্থিত ছিলাম না। কে বা কারা এ হামলা করেছে তা–ও আমার জানা নেই। এটি পূর্বশত্রুতার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।”
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ছিদ্দিক এ ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা আবদুল খালেক চৌধুরীর ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি এবং এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনা কক্সবাজারের আইনজীবী মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তদন্তের ফলাফলের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।