সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল থেকে প্রচারিত খবরে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে গণমাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠিত হলেও কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো অভিযোগ পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হচ্ছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বিচারকদের বিষয়ে কিছু তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। তবে এই প্রক্রিয়া চলমান থাকা সত্ত্বেও, রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো অভিযোগ পাঠানো হয়নি। গণসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নজরে এসেছে এবং আদালতের সম্মান রক্ষার্থে এমন মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদ জানানো জরুরি মনে করা হয়েছে।”
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে যথাযথ সত্যতা যাচাই করার জন্য। তাদের বক্তব্য, “জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি এড়াতে এবং বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার্থে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকা উচিত।”
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এ বিবৃতির পর সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বিচার বিভাগের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে এ ধরনের অসত্য সংবাদ প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।