আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত নতুন আইন অনুসারে কথাবার্তা বলার জন্য কোনো অপরাধ হবে না। তবে, আইনে শুধু কম্পিউটারভিত্তিক অপরাধের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে, যা সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এই মন্তব্যটি তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে করেছেন। সম্মেলনটি বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজন করেছে, যার নাম ছিল বঙ্গোপসাগর সংলাপ বা ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’।
আইন উপদেষ্টা সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করতে নতুন আইন আনা হচ্ছে। তাঁর মতে, নতুন আইনে কথা বলার জন্য শাস্তি প্রদান করা হবে না, তবে এটি কম্পিউটারভিত্তিক অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। তিনি বিশেষভাবে ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন, যা গণতন্ত্র এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আসিফ নজরুল ডিসমিসল্যাবের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে আসা অপতথ্য ছড়ানোর পরিমাণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অপতথ্য ছড়ানোর হার তিন গুণ বেড়েছে এবং এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অপতথ্য ছড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন- তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি সৎ ও সুসাংবাদিকতার মাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।
আইন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়- স্পিচ অফেন্স-সংক্রান্ত ১ হাজার ৩৪০টি মামলার মধ্যে ৮৭৯টি মামলাকে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে এবং ৪৬১টি তদন্তাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।